ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

‘রাজাকার’ ও ‘হাইব্রিড’মুক্ত আ. লীগের কমিটি দাবি তৃণমূলের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২২
‘রাজাকার’ ও ‘হাইব্রিড’মুক্ত আ. লীগের কমিটি দাবি তৃণমূলের মানববন্ধন

লালমনিরহাট: রাজাকারের সন্তান ও হাইব্রিডমুক্ত ত্যাগী কর্মীর নেতৃত্বে নতুন কমিটির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার তৃণমূল আওয়ামী লীগ।

শনিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন তারা।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া আওয়ামী নেতাকর্মীরা জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শওকত আলীর মৃত্যুর পর গঠনতন্ত্র বহির্ভূতভাবে তিন নম্বর সহ-সভাপতিকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ঘোষণা করে বিতর্কের জন্ম দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপির সাবেক নেতার ছেলে রফিকুল আলম। কোনো সভা বা রেজুলেশন ছাড়াই সিনিয়র সহ সভাপতিকে না করে তিন নম্বর সহ সভাপতি রবিউল ইসলাম মানিককে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়।  

কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য করে পুলিশী শক্তি প্রয়োগ করে ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টিতে সম্মেলন করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। ৬টি ইউনিয়নের নতুন কমিটিতে রাজাকারের ছেলে, বিএনপি নেতার ছেলে, বিএনপি নেতার ভাইকে সভাপতি-সম্পাদকের পদ দিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছেন। সদস্য পদ না থাকলেও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি তৃণমূলের।

বক্তরা জানান, গত ৮ অক্টোবর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের দাবি ও সমর্থনের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় নেতারা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মাহমুদ ওমর চিশতীর নাম প্রস্তাব করেন। এতে কতিপয় হাইব্রিড নেতা পদ না পেয়ে সম্মেলন স্থগিত করতে সার্কিট হাউসে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাখওয়াত হোসেন শফিককে লাঞ্ছিত করেন।

হাইব্রিড আর রাজাকারের ছেলের ইউনিয়ন সম্মেলন বাতিল এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের ঘোষিত মাহমুদ ওমর চিশতীকে সম্পাদক করে উপজেলা কমিটি দ্রুত ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন করেন তৃণমূল আওয়ামী লীগ। মানববন্ধন শেষে ২০ মিনিট লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা।

তৃণমূল আওয়ামী লীগের ব্যানারে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- ৯০ সালের উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রশিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিম মিয়া, দুর্গাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) নবি হোসেন, সম্পাদক ভাদাই ইউপি চেয়ারম্যান কৃষ্ণকান্ত রায় বিদুর, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক গোলাম সারওয়ার সুজন, ভাদাই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।