ঢাকা: জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ৭ নভেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে উন্মুক্ত আলোচনা সভাসহ একদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
রোববার (৩০ অক্টোবর) সকালে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভা শেষে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, বর্তমান একটা অস্বস্তিকর কঠিন পরিস্থিতিতে ৭ নভেম্বর আমাদের কাছে, দেশের মানুষে কাছে অত্যন্ত জরুরি। ৭ নভেম্বরের চেতনা নিয়ে আজকে আবার বাংলাদেশকে মুক্ত করতে হবে, আজকে আবার জনগণকে সম্পৃক্ত করে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে হবে।
প্রতিটি মানুষের কাছে আমরা আহ্বান জানাই, সব পেশার মানুষকে আহ্বান জানাই আজকে আসুন আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে আবার রক্ষা করার জন্য, আবার মুক্ত করবার জন্য, আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করবার জন্য আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। আমরা আরো শক্তি সঞ্চয় করে এদেরকে পরাজিত করি। এটাই হবে ৭ নভেম্বরে প্রতি সবচেয়ে বড় সন্মান ও শ্রদ্ধা জানানো।
৭ নভেম্বরের কর্মসূচি জানিয়ে তিনি বলেন, ভোরে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়, গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়সহ সারাদেশে দলের কার্যালয়সমূহে দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং সকাল ১১টায় শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পস্তবক অপর্ণ করে শ্রদ্ধা জানানো হবে।
৭ নভেম্বর দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সিপাহী-জনতার ঐক্যে ও পরবর্তীতে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ‘তলাবিহীন ঝুঁড়ি’ থেকে দেশকে পুনরুদ্ধারের পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।
এই দিনকে বিএনপি ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’, আওয়ামী লীগ ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ এবং জাসদ ‘সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে পালন করে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান সপরিবারের নিহত হওয়ার পর সেনা প্রধানের দায়িত্বে আসেন জিয়াউর রহমান। এরপর মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে সেনা বাহিনীতে একটি অভ্যুত্থান হয়, জিয়াকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়।
৭ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের আরেক সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে পাল্টা অভ্যুত্থানে আটকাবস্থা থেকে মুক্ত হন জিয়া। এর মধ্য দিয়ে ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দুতে চলে আসেন জিয়া।
দিবসটি উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে পোস্টার প্রকাশ করা হয়েছে এবং জাতীয় পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে।
সারাদেশে জেলা, মহানগর, উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালনে জেলা, মহানগর, উপজেলা কমিটিগুলো দিবসটি উদযাপনে ব্যবস্থা নেবে বলে জানান মহাসচিব।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির আমান উল্লাহ আমান, খায়রুল কবির খোকন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, এবিএম মোশাররফ হোসেন, তাইফুল ইসলাম টিপু, মীর নেওয়াজ আলী, আবদুস সাত্তার পাটোয়োরি, তারিকুল ইসলাম তেনজিং, মহানগর বিএনপির রফিকুল আলম মজনু, আমিনুল হক, যুব দলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের এস এম জিলানী, শ্রমিক দলের মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, হেলেন জেরিন খান, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান, ওলামা দলের শাহ নেছারুল হক, নজরুল ইসলাম তালুকদার, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মজিবুর রহমান, মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহতাব, আবদুর রহিম, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, লিয়াকত আলী, ছাত্র দলের রাকিবুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২২
এমএইচ/এএটি