রূপপুর থেকে: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যৎকেন্দ্র চালু হলে জিডিপিতে দুই শতাংশ অবদান রাখবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওয়াসমান।
বুধবার (৪ অক্টোবর) রূপপুর প্রকল্প সাইটে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি (নিউক্লিয়ার ফ্রেস ফুয়েল) ইউরেনিয়াম আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর হবে। তার আগে প্রকল্প এলাকা প্রাক্-পরিদর্শনকালে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বলেন, সর্বোচ্চ দেড় বছর লাগতে পার, সেক্ষেত্রে ২০২৫ সালের শুরুতে জনগণ রূপপুর থেকে বিদ্যুৎ পাবে। উত্তরবঙ্গের পিছিয়ে পড়া জনগণ এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, সঞ্চালন লাইনসহ অন্যান্য অবকাঠামো তৈরি হবার পরই পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হবে।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এটমিক এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের (আইএইএ) গর্ভনিং বডির সদস্য নির্বাচিত হয়েছে।
ইয়াফেস ওসমান বলেন, দীর্ঘ সাত বছর ধরে নিরলসভাবে এই প্রকল্পের কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত একদিনও এই প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়নি। বিশ্বের কোথাও এই মানের কোনো প্রকল্পের এতটা অগ্রগতি হয়নি এত কম সময়। ১০-১২ বা বছর ১৫ বছরও লেগে যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক চেষ্টার ফলে এটা এই সময়ে সম্ভব হচ্ছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে জিডিপিতে দুই শতাংশ অবদান রাখবে।
এ সময় প্রকল্প পরিচালক শৌকত আকবর ইউরেনিয়াম সম্পর্কে বলেন, নিউক্লিয়ার জ্বালানি প্রকল্প এলাকায় আসার পরই এটি পারমাণবিক স্থাপনা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বাংলাদেশ নিউক্লিয়ার ক্লাবের ৩৩তম সদস্য হতে যাচ্ছে।
শৌকত আকবর আরও বলেন, পারমাণবিক জ্বালানি আমদানি ও সুরক্ষা করতে সব শর্ত মানা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সবার পর্যবেক্ষণ রয়েছে। ইউরেনিয়াম কমিশনিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রকল্পটি পারমাণবিক রূপ পাবে। মাত্র ছয় বছর সাত মাসে আমরা প্রকল্পের এই রূপ দিতে সক্ষম হয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০২৩
এসকে/এমজেএফ