রাজশাহী: পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় দেশে সৌর বিদ্যুতের অপার সম্ভাবনা কাজে লাগানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
রাজশাহীতে নবায়নযোগ্য সৌর বিদ্যুতের সম্ভাবনা নিয়ে অনুষ্ঠিত সেমিনার ও কর্মশালায় এ আহ্বান জানানো হয়।
‘বাংলাদেশে সৌর বিদ্যুতের সম্ভাবনা: ভূমি স্বল্পতার অজুহাত ও বাস্তবতা’ শিরোনামে রোববার (৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ও কোস্টাল লাইভি হুড অ্যান্ড এনভাইরনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্কের (ক্লিন) আয়োজনে দিনব্যাপী এ সেমিনার ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
রাজশাহীর হোটেল ওয়ারিশানের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত এ সেমিনার ও কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, পরিবেশবিদ, প্রকৌশলী, আইনজীবী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ উপস্থিত থেকে মতামত দিয়েছেন।
এতে জৈব শক্তি ব্যবহারের বিকল্প হিসেবে সূর্যের আলো ব্যবহার করে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।
এতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আবু নাসের মো. ওয়াহিদের সঞ্চালনায় সেমিনারে বক্তব্য দেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান, অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আনোয়ারুল করিম, নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই লিমিটেডের (নেসকো) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সাইফুল্লাহ, রাজশাহী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার রমেন্দ্র চন্দ্র রায়, রাজশাহী জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কবির হোসেন, ক্লিনের প্রধান নির্বাহী হাসান মেহেদী প্রমুখ।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন বেলার রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়ক তন্ময় কুমার স্যানাল। এতে ৪০ জন বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ অংশ নেন।
শুরুতে ক্লিনের গবেষণা কর্মকর্তা শারমিন আক্তার আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে বিস্তারিত উপস্থাপনা হাজির করেন। এতে উঠে আসে বাংলাদেশে কতটুকু জায়গায় কী কী উপায়ে সোলার প্যানেল বসানো সম্ভব। সেখান থেকে কতটুকু বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে তার বর্ণনা দেন। এক্ষেত্রে সরকার কী ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে সে বিষয়েও আলোকপাত করা হয়।
আলোচনায় অধ্যাপক আনোয়ারুল করিম বলেন, এদেশে খাদ্যে এখনও স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। তাই তিনি কৃষিজমিতে সোলার প্যানেল স্থাপনের পক্ষে নয়, বরং রেলওয়ের জমি ও স্টেশন, বিভিন্ন সরকারি ভবনের ছাদে প্যানেল স্থাপনে পক্ষে। তবে এ জন্য এ সংক্রান্ত ব্যয় কমাতে হবে। প্যানেল তৈরির উপাদান সিলিকা রাজশাহীর পদ্মার বালুতেও রয়েছে। সেখান থেকে প্যানেল তৈরি করতে হবে। বাইরে থেকে কিনে সোলার প্যানেল করা ব্যয়বহুল। সবার আগে এ জন্য দক্ষ জনশক্তিও তৈরি করা প্রয়োজন।
অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, বর্তমানে ৭৭ শতাংশ জৈব জ্বালানি ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন খাতে। এর ফলে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এটি দিন দিন বাড়ছেই। বায়ু দূষণ রোধ করা যাচ্ছে না। তাই এদেশে সোলার প্যানেলে দিকে যাওয়া ছাড়া কোনো বুদ্ধি নেই।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০২৩
এসএস/আরআইএস