ঢাকা: সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী বিদ্যুৎ খাতকে যদি জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর করা যায়, তাহলে ২০৩০ সাল নাগাদ দেশে এই খাতে নতুন করে ৯ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে মনে করছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক-ইন সেন্টারে ‘শক্তি রূপান্তর: কর্মসংস্থান এবং দক্ষতা’ শীর্ষক ডায়লগে এমনটি জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী বিদ্যুৎ খাতকে যদি জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর করা যায়, তাহলে ২০৩০ সাল নাগাদ দেশে এই খাতে নতুন করে ৯ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
পাশাপাশি যদি ‘মুজিব পারস্পেকটিভ মাস্টারপ্ল্যান’ অনুযায়ী একই সময়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৫৩ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন করা সম্ভব হয়, তাহলে এই খাতে ৩৩ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। বর্তমানে দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন সক্ষমতা ১ হাজার ১৯৪ মেগাওয়াট।
প্রতিবেদনের ফলে বলা হয়, আগামীতে গ্রিড ম্যানেজমেন্ট, ডাটা অ্যানালাইসিস, সাইবার সিকিউরিটি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স দক্ষতা সমৃদ্ধ কর্মসংস্থান প্রয়োজন। শক্তি রূপান্তরের ফলে ২০৩০ সাল নাগাদ ৯ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
যদি শক্তি রূপান্তর উল্লেখযোগ্য হারে বাড়াতে সরকার ও নীতি নির্ধারকেরা অধিক গুরুত্ব দেয়, তাহলে কর্মসংস্থান বাড়বে প্রায় চার গুণ। অর্থাৎ প্রায় ৩৭ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি সম্ভব।
গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, আমরা জ্বালানি খাতে ফসিল ফুয়েলের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল। ৯৫ শতাংশ জ্বালানি আসছে ফসিল ফুয়েল থেকে। জ্বালানি খাতের অবকাঠামো, কর্মসংস্থান, প্রতিষ্ঠানগুলো ফসিল ফুয়েল নির্ভর। কিন্তু এই চিত্র উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের ক্ষেত্রে ভিন্ন। বিভিন্ন দেশে জ্বালানি খাতে কর্মসংস্থানের রূপান্তর ঘটছে।
প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফাহমিদা আখতার, বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের রেক্টর মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক অধ্যাপক ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২৩
আরকেআর/আরএইচ