ঢাকা: ১৯৫৯ সালের ৩ ডিসেম্বর তাদের প্রথম পারমাণবিক শক্তিচালিত আইস ব্রেকার বহরের উদ্বোধন করে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন রোসাটম। লেনিন নামক আইস ব্রেকারটি চালুর মাধ্যমে এই বহরের যাত্রা শুরু হয়।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) রোসাটমের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
পরমাণু শক্তিচালিত আইস ব্রেকার লেনিনে ছিল দুটি পারমাণবিক চুল্লি যাদের মোট তাপোৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৩১৮ মেগাওয়াট, যা ৩২ মেগাওয়াট হর্স পাওয়ার জোগান দিতে সক্ষম। চুল্লিগুলো কোনো রিফুয়েলিং ছাড়াই চার বছর এক টানা কার্যক্রম পরিচালনে সক্ষম ছিল। জাহাজটি তার ৩০ বছর আয়ুষ্কালে ৬ লাখ ৫৪ হাজার নটিক্যাল মাইল অতিক্রম করে এবং আর্কটিক অঞ্চলে ৩ হাজার ৭৪১টি জাহাজকে চলাচলে সহায়তা করে। বর্তমানে এই আইস ব্রেকারটি মুরমান্সক সমুদ্রবন্দরের জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। প্রতিবছর ৬০ হাজারের অধিক দর্শনার্থী এই জাহাজটি পরিদর্শনে আসেন।
আইস ব্রেকার লেনিনের পর, রাশিয়া অব্যাহতভাবে তাদের পারমাণবিক আইস ব্রেকার প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটাতে থাকে। বর্তমানে রোসাটমের আইস ব্রেকার বহরে সাতটি পরমাণু শক্তিচালিত আইস ব্রেকার রয়েছে, এর মধ্যে তিনটি ২২ হাজার ২২০ প্রকল্পের অধীনে নির্মিত আর্কটিকা, সাইবেরিয়া এবং উরাল।
এই জাহাজগুলোর প্রতিটিতে স্থাপিত হয়েছে দুটি করে আরআইটিএম-২শ চুল্লি, এগুলোর মোট ক্ষমতা ৬০ মেগাওয়াট হর্স পাওয়ার, এবং তাপোৎপাদন ক্ষমতা ৩৫০ মেগাওয়াট। উন্নত ও উদ্ভাবনশীল ডিজাইনের কারণে এগুলো রিফুয়েলিং ছাড়াই সাত বছর একটানা সেবা দিতে সক্ষম। আইস ব্রেকারগুলো ২ দশমিক ৯ মিটার পুরু বরফ কেটে অগ্রসর হওয়ার ক্ষমতা রাখে। আইস ব্রেকারগুলো বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা সম্ভব। ড্রাফট সমন্বয় করে গভীর সমুদ্রে এবং অগভীর মোহনায়ও এগুলো চলাচল করতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২৪
এসকে/এএটি