ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট

রাতভর যানবাহনের ভিড়, ভোর থেকে বন্ধ সব পেট্রলপাম্প

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৩
রাতভর যানবাহনের ভিড়, ভোর থেকে বন্ধ সব পেট্রলপাম্প

চট্টগ্রাম: জ্বালানী তেল বিক্রির কমিশন বাড়ানোসহ নয় দফা দাবিতে বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে বন্দরনগরী চট্টগ্রামেও শুরু হয়েছে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট।

রোববার ভোর ৬টা থেকে নগরীসহ আশপাশের এলাকার সব পেট্রলপাম্প থেকে বন্ধ হয়ে গেছে জ্বালানী তেল সরবরাহ।

এর আগে শনিবার রাতভর নগরীর বিভিন্ন পেট্রল পাম্পে ছিল যানবাহনের ভিড়। এরপরও কিছু কিছু ছোট যানবাহন জ্বালানী তেলের জন্য বিভিন্ন পেট্রল পাম্পে গেলেও তাদের তেল না নিয়ে ফেরত যেতে হয়।

এছাড়া নগরীর বন্দর, নিমতলা বিশ্বারোডসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় তেলবোঝাই ট্যাংকলরিগুলো জ্বালানি তেল সরবরাহ না করে ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে। নগরীর পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ডিপোর আশপাশেও ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে তেলবাহী ট্যাংকলরিগুলো।

ভোর থেকে নগরীর বিভিন্ন পেট্রল পাম্পে গিয়ে দেখা গেছে, অনেক পেট্রল পাম্পের প্রবেশপথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বেশকিছু পেট্রল পাম্পের সামনে তেলের খালি ড্রাম এবং বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করা হয়েছে।

পেট্রলপাম্পের ডিজেল, অকটেন ও পেট্রলের ইউনিটগুলোতে ধর্মঘটের দাবিনামা নিয়ে পোস্টার সেঁটে দেয়া হয়েছে।

নগরীর দামপাড়া এলাকার পুলিশ লাইন পেট্রল পাম্পের পাম্পম্যান মো.মুনীর বাংলানিউজকে বলেন, `সারারাত খুব ভিড় ছিল। ধর্মঘট শুরুর পর কেউ আমাদের পাম্পে আর তেল নিতে আসেনি। ধর্মঘটের কথা সবাই আগে থেকে জানত। এজন্য গাড়িগুলো আগেভাগে তেল সংগ্রহ করেছে। `

নগরীর একটি সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠানের মালিক আজাদুর রহমান আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, `চান্দগাঁওয়ে একটি পেট্রল পাম্পে রাত দু`টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি। ভিড়ের জন্য তেল নিতে পারিনি। পরে প্রাইভেট কার নিয়ে গণি বেকারীর মোড়ে কিউসিতে। সেখান থেকে তেল নিয়ে রাত আড়াইটায় বাসায় যায়। `

নগরীর ওয়াসা মোড়ের এস কে খান এন্ড সন্স নামের পেট্রল পাম্পের সামনে গিয়ে দেখা যায়, দু`জন মোটর সাইকেল আরোহী তেল নিতে এসে না পেয়ে ফেরত যাচ্ছে।

একজন মোটর সাইকেল আরোহী জানান, তিনি তিন-চারটি পেট্রল পাম্প ঘুরেছেন। কিন্তু কোথাও তেল পাননি।

অপর মোটর সাইকেল আরোহী বাংলানিউজকে বলেন, `যদি আগে থেকে ধর্মঘটের কথা জানতাম, তাহলে রাতেই তেল নিয়ে নিতাম। `

এস কে খান এন্ড সন্সের ক্রেডিট ক্যাশিয়ার মো.শরীফ সরকার বাংলানিউজকে বলেন, `এ কর্মসূচী কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচী। যেহেতু চট্টগ্রামের পেট্রলপাম্পগুলো পরিষদের অধীনে পরিচালিত হয়, সেজন্য ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা না আসা পর্যন্ত পাম্পগুলো বন্ধ থাকবে। `

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামে ঐক্য পরিষদের অধীনে ৫৪টি পেট্রল পাম্প আছে। এর মধ্যে অনেক পাম্পে সিএনজি ইউনিটও আছে। এসব পাম্পের সিএনজি ইউনিট থেকে গ্যাস সরবরাহ হলেও জ্বালানীর ইউনিটগুলো বন্ধ আছে।

বাংলাদেশ রিফুয়েলিং সিএনজি কনভার্শন এন্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মো.মনসুরুল করিম বাংলানিউজকে বলেন, `সিএনজি স্টেশনগুলো ধর্মঘটের আওতামুক্ত। আমরা ঐক্য পরিষদের সঙ্গে থাকলেও তাদের কমিশন বৃদ্ধির দাবির সঙ্গে আমরা নেই। এজন্য আমরা ধর্মঘটেও নেই। `

বাংলাদেশ সময়: ১০২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৩
আরডিজি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।