ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

খনি থেকে বিস্ফোরক ‘চুরি’র ঘটনায় তদন্ত কমিটি

সেরাজুল ইসলাম সিরাজ ও মোস্তাফিজুর রহমান বকুল | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৩
খনি থেকে বিস্ফোরক ‘চুরি’র ঘটনায় তদন্ত কমিটি

ঢাকা: মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনিতে বিস্ফোরক ‘চুরি’র ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড। কমিটির প্রধান করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের মহাব্যবস্থাপক (মার্কেটিং) মীর মোহাম্মদ আব্দুল হান্নানকে।

অপর দুই সদস্য হলেন উপমহাব্যবস্থাপক (মার্কেটিং) আসাদুজ্জামান ও স্টোর ব্যবস্থাপক সৈয়দ রফিকুল ইসলাম।

কমিটিকে মঙ্গলবার বিকেল চারটার মধ্যে চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া পরবর্তী দুই কার্যদিবসের মধ্যে খনির নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপরও প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে তদন্ত কমিটিকে।

কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বিস্ফোরকের গুদামগুলোতে বর্তমানে ৭২ হাজার ৫১০ পিস ইলেক্ট্রনিক ডিটোনেটর(প্রতিটি তিনফুট লম্বা), ৫ হাজার ২শ’  ৮৭টি নন ইলেক্ট্রনিক ডেটোনেটর আছে। পাশাপাশি ২৫ মিলিমিটার ডায়ার বিস্ফোরক ৯ হাজার ৮শ’৩৫ কেজি, ৫০ মিলিমিটার ডায়ার বিস্ফোরক ১২ হাজার ৩৭৫ কেজি, ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫৬৫ মিটার ডেটোনেটর কর্ড ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট আছে ৬৬ হাজার ২শ’ কেজি।

খনি কর্তৃপক্ষের তরফে উপ মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এ এম মোস্তফা ফেরদৌসি বাংলানিউজকে এ সব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, “এত বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকের নিরাপত্তা বিধানের জন্য আমরা বেশ কয়েক বার উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বরাবর সেনাবাহিনী চেয়ে আবেদন করেছিলাম, কিন্তু সেনাবাহিনী দেওয়া হয়নি। ”

চুরি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এখনও চুরি হয়েছে তা বলা যাবে না, গণনা শেষ হলেই বোঝা যাবে চুরি হয়েছে কি না”।

এদিকে এ ব্যাপারে পাবর্তীপুর মডেল থানায় একটি জেনারেল ডায়রি করা হয়েছে। এ মুহূর্তে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি তদন্ত দল অবস্থান করছে, পাশাপাশি তদন্ত কমিটিও ইতিমধ্যেই তাদের কাজ শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দিনাজপুরের পাবর্তীপুরে অবস্থিত মধ্যপাড়া কঠিন শিলা প্রকল্পের বিস্ফোরক রাখার গুদামের তালা ভাঙ্গা থাকার বিষয়টি গোচরীভূত হয়।

বেলা ১১টার দিকে স্টোর রুমের তালা ভাঙ্গার বিষয়টি প্রথম আবিষ্কার করেন এক আনসার সদস্য। গুদামের তালা ভাঙ্গা থাকায় সেখান থেকে বিস্ফোরক চুরি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়।

তবে মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মইনউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন,“ স্টোর রুমের তালা ভাঙ্গার খবর পেয়েছি। চুরি হয়েছে একথা বলতে চাইনা, আবার চুরি হয়নি এটাও বলতে পারছি না। ”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিষ্ঠানের সাবেক এক এমডি (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) বলেন,  এসব বিস্ফোরক দিয়ে রেল লাইনও উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। মাটির নিচে পাথর ভাঙ্গার কাজেই মূলত বিস্ফোরকগুলো ব্যবহার হয়ে থাকে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৩
এসআই/সম্পাদনা: রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।