ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

বিদ্যুতের কারণে দারিদ্র্য কমে ২৬ শতাংশ

সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, শাহীন রহমান ও সেলিম সরদার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০১৩
বিদ্যুতের কারণে দারিদ্র্য কমে ২৬ শতাংশ

রূপপুর (পাবনা) থেকে: বিদ্যুত খাতের উন্নয়নের কারণে দারিদ্র্য ২৬ শতাংশে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা থাকা সত্বেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

সরকার সাড়ে ৪ বছরে বিদ্যুতের উৎপাদন ৯৭১৩ মেগাওয়াটে উত্তীর্ণ করেছে। যা দ্বিগুণেরও বেশি। এতে রিজার্ভ বেড়েছে। আর বিদ্যুত খাতের উন্নয়নের কারণে দারিদ্র্য ৫৬ শতাংশ থেকে কমে ২৬ শতাংশে নেমে এসেছে।

বুধবার দুপুরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বিদ্যুৎ খাতের ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে বিদ্যুৎ উৎপাদন ১৬শ’ থেকে ৪ হাজার তিনশ’ মেগাওয়াটে উত্তীর্ণ করে আওয়ামী লীগ। বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর যা কমিয়ে ৩ হাজার দুইশ’ করেছিলো।
 
বিদ্যুৎ ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগ বেশি দরকার। সেদিকে মনোযোগি হয়েছে সরকার। ‌ইতোমধ্যেই ভারত, মালয়েশিয়া ও চীনের সঙ্গে যৌথভাবে বেশ কয়েকটি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
 
তিনি বলেন, আমরা কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। সে কথা প্রমাণ করেছি। ২০২১ সালে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার। তার মধ্যে ১০ ভাগ আসবে পারমাণবিক বিদ্যুৎ থেকে।
 
প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশে ২০ লাখ সোলার প্লান্টের মাধ্যমে একশ’ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন হচ্ছে। ৩৪ লাখ গ্রাহক ২০টি গ্রিডে ৩ লাখ কিলোমিটার বিতরণ লাইন থেকে বিদ্যুত পাচ্ছে। এজন্য ৯ হাজার কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন স্থাপন করা হয়েছে।

এছাড়া গ্রাম-গঞ্জের প্রতিটি বাড়িতে বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করা হবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখিত প্রকল্পগুলো ২০২০ সালের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে।

রূপপুর প‍ারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে মানুষ ও পরিবেশের নিরাপত্তার ‌ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে বলেও নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে ১৯৭১ সালে মুক্তিকামী মানুষের পাশে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য, সেই সঙ্গে আজও দেশের উন্নয়নে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর জন্য রাশিয়ান প্রেসিডেন পুতিনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান শেখ হাসিনা।
 
উল্লেখ্য, রূপপুরে পৌঁছেই বেলা ১১টা ২০ মিনিটে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে মোনাজাত করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে রূপপুর আনবিক প্রকল্প মাঠে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেন তিনি।
 
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল একে খন্দকার, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দবিরুল ইসলাম এমপি, পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের এমপি শামসুর রহমান শরীফ ডিলু।
 
এছাড়া রাশিয়ান ফেডারেশনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও রাশিয়ান ফেডারেশনের দ্য স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি করপোরেশনের (রোসাটম) ডিজি সারগে ভি কিরিয়েনকো, আন্তর্জাতিক পারমাণু শক্তি কমিশনের কারিগরি বিভাগের ডিজি অসকার এথিনাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৩
ইএস/এসই/এসএটি/বিএসকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।