ঢাকা, সোমবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ মে ২০২৪, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

মহেশখালী বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে এমওইউ স্বাক্ষর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৪
মহেশখালী বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে এমওইউ স্বাক্ষর

ঢাকা: পটুয়াখালীর পর এবার কক্সবাজারের মহেশখালীতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে চীনের একটি কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক  স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। মহেশখালীতে ১৩২০ মেগাওয়াটের এইবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চীনের সঙ্গে যৌথ মালিকানায় নির্মিত হবে।



মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যুৎ ভবনে চায়না হুদিয়ান হংকং কোম্পানি লিমিটেড ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়নবোর্ডের মধ্যে এ সমঝোতা স্মারক (এমওইউ)স্বাক্ষর হয়।

এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির চীনা মালিকানায় থাকবে ৫১ শতাংশ ও বাংলাদেশের ৪৯ শতাংশ। নির্মাণ ব্যয়ের ৩০ শতাংশ বিনিয়োগ করবে বাংলাদেশ ও চীন। বাকি ৭০ শতাংশ ঋণের মাধ্যমে আসবে বলে জানা গেছে।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করার জন্য  চীনা  কোম্পানির প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

তিনি বলেন, যেহেতু দু’টি ইউনিট হবে। অন্তত একটি ইউনিট আগামী ৩/৪ বছরের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পের তালিকায় রয়েছে বলেও জানান তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

তিনি বলেন, “অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। বিভিন্ন দেশও এগিয়ে আসছে। এতে জনগণের সহায়তা প্রয়োজন। ”

উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। পরিবেশ দূষণ ন্যূনতম রাখার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান জ্বালানি উপদেষ্টা।

এমওইউ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিগত মেয়াদে উচ্চাবিলাসী মাস্টার প্ল্যান করেছিলো। সেটি বাস্তবায়ন করেছে। যে কারণে বিদ্যুৎ খাতের বিশাল সাফল্য অর্জিত হয়েছে।

সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের উপর নির্ভরতা কমাতে চাচ্ছে। তাই বিকল্প জ্বালানির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তারই অংশ হিসাবে কয়লাভিত্তিক বেশ কিছু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে চীনা রাষ্ট্রদূত লি জুন, চায়না হুদিয়ান হংকং কোম্পানির চেয়ারম্যান তেং ইয়ং গাও উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ভারতের সঙ্গে যৌথ মালিকানায় বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ চুক্তি করা হয়। যা এখন নির্মাণাধীন রয়েছে।

আর গত ১৯ মার্চ পটুয়াখালীর কয়রায় একই ক্ষমতার যৌথ মালিকানায় একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ‘চায়না ন্যাশনাল মেশিনারিজ ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন’র সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।