ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

‘মারুবিনিকে’ কাজ দেওয়ায় সংসদীয় কমিটির ক্ষোভ

সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৫ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০১৪
‘মারুবিনিকে’ কাজ দেওয়ায় সংসদীয় কমিটির ক্ষোভ

ঢাকা: জাইকার (জাপান ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন এজেন্সি) কালো তালিকাভুক্ত মারুবিনি করপোরেশনকে কাজ দেওয়ায় ক্ষোভ বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির। কালো তালিকাভুক্ত হওয়ার পরেও কেন মারুবিনিকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে জানতে চেয়েছে কমিটি।


 
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ত্রুটি পাওয়া গেলে প্রয়োজনে সাব কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংসদীয় কমিটির সদস্য শিবলী সাদিক এমপি।

মারুবিনি করপোরেশন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ৩৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বিবিয়ানা-৩ (৪০০ মেগাওয়াট) কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্টের টার্ণ-কী ঠিকাদার ছাড়াও বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ পেয়েছে। জাপানিজ এই কোম্পানিটিকে জালিয়াতির দায়ে গত ২৬ মার্চ কালো তালিকাভুক্ত করেছে জাইকা। জাইকার ওয়েব সাইটে Measures against Fraud (জালিয়াতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা) নামে এক নোটিশ প্রদর্শিত হচ্ছে। নোটিশে আগামী নয় মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়েছে।
 
Measures against Fraud নোটিশে বলা হয়েছে, এই সংস্থার দরপত্রে অংশগ্রহনের যোগ্যতা স্থগিত করা হলো। মারুবিনি করপোরেশন ঠিকাদার বা উপ-ঠিকাদার হিসেবেও অংশ নিতে পারবে না। কারণ হচ্ছে- প্রতিষ্ঠানটি ইন্দোনেশিয়ার তারান প্রকল্পে ঘুষ লেনদেনের কথা স্বীকার করেছে।
 
সংসদীয় কমিটির ওই সভার কার্যপত্রে সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম এমপির বরাত দিয়ে লেখা হয়েছে, কালো তালিকাভুক্ত হওয়ার পরও কেন ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তা পরীক্ষা করা প্রয়োজন। শাহজীরবাজার, হরিপুর, সিদ্ধিরগঞ্জ, বিবিয়ানা-২ ও ৩ এ নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের লিখিত আকারে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন তিনি।
 
ওই বৈঠকে সদস্য আবু জাহির এমপি বিবিয়ানা-২ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজের গতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।   তিনি বলেন, ২০১১ সালের মে মাসে চুক্তি হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত মাত্র ২১ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। উন্নয়ন প্রকল্পগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন না হলে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ভেস্তে যাবে।
 
আবু জাহির এমপির বরাতে কার্যপত্রে আরও লেখা হয়েছে, ‘ বিদ্যুৎ সেক্টরে একই প্রতিষ্ঠানকে দুই এর অধিক কাজ না দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। তারপরও এই কোম্পানিকে একাধিক কাজ দেওয়া হয়েছে। সামিট গ্রুপের বিবিয়ানা-২ কাজটি কত নম্বর জানতে চেয়েছেন তিনি।
 
বিবিয়ানা-২ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির কাজ পেয়েছে সামিট গ্রুপ। সামিট শুধু এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রই নয় বিবিয়ানা-১ কাজও পেয়েছিলো। সেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির কাজ শুরুই করতে পারেনি। চলতি বছরের শুরুতে চুক্তি বাতিল করা হলে রিট দায়ের করেছে। যে কারণে ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ভাগ্য অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
 
ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুহু রুহুল্লাহ। তিনি বিবিয়ানা-২ এর বিস্তারিত তথ্য উপাত্ত উপস্থাপনের জন্য সময় চেয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।