ঢাকা: দেশের জন্য আরও ৩ শ’ ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন চারটি কেন্দ্র উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে তার সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা শোনালেন।
রোববার (০৩ মে) বিকেলে গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নাটোর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও ঘোড়াশালের চারটি কেন্দ্র এক যোগে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি জানান, দেশ আজ ১৩ হাজার ২৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। অদূর ভবিষ্যতে মোট উৎপাদন ১৯৬৫০ মেগাওয়াটে উন্নীত করতে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে।
এ সময় তিনি সরকারের বিদ্যুৎ নিয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। নতুন যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে উঠলো তার সুবিধা গ্রহণকারী জণগনকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হতে জনগণকে আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেশি থাকলেই বেশি ব্যবহার সঠিক কাজ নয়। কম বিদ্যুৎ ব্যবহারে অর্থ ব্যয় কম হয়। এতে সাধারণ মানুষের সুবিধাই নিশ্চিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশে এখন সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন ৭ হাজার ১৭১ মেগাওয়াট পর্যন্ত উন্নীত হয়েছে।
শেখ হাসিনা জানান, তার সরকার সৌর বিদ্যুতের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। এছাড়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের ওপরও দেওয়া হচ্ছে বিশেষ জোর। এছাড়াও পরমানুভিত্তিক ১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে এই খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রথমে ২০০০ মেগাওয়াট পরে ৪০০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বাড়ানো হবে।
ভারত থেকে এরই মধ্যে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন আরও ৫০০ মেগাওয়াট আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া আগরতলা থেকে পাওয়া যাবে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল-ভুটান এই চতুর্দেশীয় উদ্যোগের মাধ্যমে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও তিনি জানান মিয়ানমার থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে আনার পরিকল্পনার কথা। একটি আঞ্চলিক সহযোগিতার সম্পর্ক স্থাপন করেই এই বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময় ১৭৫১ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৫
এএ/এমএমকে
** নাটোরে নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন
** উপমহাদেশে বিদ্যুৎ আমদানি আমরাই প্রথম শুরু করেছি
** মুন্সীগঞ্জে বিদ্যুত কেন্দ্রের উদ্বোধন