ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

‘ফুয়েল মিক্স’ রূপকল্পে শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিতের চ্যালেঞ্জ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৭ ঘণ্টা, মে ৫, ২০১৫
‘ফুয়েল মিক্স’ রূপকল্পে শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিতের চ্যালেঞ্জ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ‘ফুয়েল মিক্স’ রূপকল্পের মাধ্যমে দেশের শতভাগ মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় আনতে সরকারের চ্যালেঞ্জের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী।

তিনি বলেন,  দেশে বর্তমানে ১৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে।

যার আওতায় এসেছেন দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ। শতভাগ মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় আনতে সরকার ‘ফুয়েল মিক্স’ রূপকল্প নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৫ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা জানান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শক্তি ইনস্টিটিউট, অস্ট্রোলিয়ান এইড এবং দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে ‘নবায়ণযোগ্য বিদ্যুৎ শক্তি উন্নয়নে ফিড-ইন ট্যারিফ নীতিমালা প্রণয়ন’ শীর্ষক এ সেমিনারটির আয়োজন করা হয়।

জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘ফুয়েল মিক্স’ রূপকল্পের মধ্যে থাকবে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, নিউক্লিয়ার ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, হাইড্রোলিক বিদ্যুৎ এবং নবায়নযোগ্য বিভিন্ন শক্তি। এছাড়া এলাকাভিত্তিক যোগাযোগের মাধ্যমেও কিছু বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। এভাবেই ফুয়েল মিক্সের একটি বড় বাস্কেট নিয়ে অগ্রসর হচ্ছি।

তিনি বলেন, উত্তরাধিকার সূত্রে বিগত সরকারের আমলে আমরা একটি জরাজীর্ণ বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পেয়েছি। ২০০৯ সালে দেশে উৎপাদিত মোট বিদ্যুতের পরিমাণ ছিল সাড়ে তিন হাজার কিলোওয়াট। বিদ্যুতের আওতায় ছিলেন মাত্র ৪০ শতাংশ মানুষ। কিন্তু এ সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং উদ্যোগে দেশে এখন ১৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। বিদ্যুতের আওতায় এসেছেন ৭০ শতাংশ মানুষ।

শতভাগ মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় আনাকে চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের মাথাপিছু বিদ্যুতের খরচের পরিমাণ ৩০০ মেগাওয়াটের মতো। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এটাকে ১ হাজার কিলোওয়াটে উন্নীত করা।

উন্নত বিশ্বের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বে যেখানে মাথাপিছু বিদ্যুৎ খরচের পরিমাণ ১০ হাজার কিলোওয়াট, সেখানে আমাদের জন্য ১ হাজার কিলোওয়াটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন মোটেই অসম্ভব নয়।

বিদ্যুৎ খাত উন্নয়নে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৬৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে বিগত সরকারের আমলে ছিল মাত্র ২৬টি।

সভাপতির বক্তব্যে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন্, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। নবায়ণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রে দক্ষ জনবল তৈরির লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শক্তি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ভবিষ্যত প্রজন্মকে বিদ্যুতের আওতায় আনতে এ ইনিস্টিটিউট যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. সাইফুল হক, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের(বিইআরসি) চেয়ারম্যান এ আর খান, বিইআরসি’র সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ, এশিয়া ফাউন্ডেশনের ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টের পরিচালক সৈয়দ আল-মুতী, কনসালন্ট্যান্ট অজিত পণ্ডিত, কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ হাসান এম মজুমদার এবং শক্তি ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ড. এস এম নাসিফ শামস প্রমুখ।

সম্মানিত অতিথি ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার গ্রেগ উইলকক।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৫
এসএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।