ঢাকা: বিদ্যুৎ ও সার উৎপাদনে অপরিবর্তিত রেখে গ্যাসের দাম ২৬.২৯ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। তবে ক্যাপটিভে পাওয়ারে শতভাগ ও আবাসিকে ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
আবাসিকে এক চুলা ব্যবহারকারীকে প্রতিমাসে ৬শ’ টাকা ও দুই চুলা ব্যবহারের জন্য ৬৫০ টাকা গুণতে হবে। যা পূর্বে ছিল যথাক্রমে ৪শ’ ও ৪৫০ টাকা।
অন্যদিকে, প্রি-পেইড মিটারে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ৫.১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭ টাকা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেন বিইআরসি চেয়ারম্যান এ আর খান। এ সময় কমিশন সদস্য ড. সেলিম মাহমুদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ আর খান বলেন, অন্যান্য জ্বালানির সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ভোক্তার স্বার্থ সর্বাগ্রে বিবেচনা করা হয়েছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, বিদ্যুৎ ও সার উৎপাদনে পূর্বের দর যথাক্রমে প্রতি ঘনমিটার ২.৮২ ও ২.৫৮ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি দাম বাড়ানো হয়েছে ক্যাপটিভ পাওয়ারে (ব্যক্তিগত কারখানার জন্য জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন)। এই খাতে পূর্বে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ছিল ৪.১৮ টাকা। যা এখন থেকে ৮.৩৬ টাকা হারে পরিশোধ করতে হবে।
শিল্পে প্রতি ঘনমিটার ৫.৮৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬.৪৫ টাকা, চা বাগানে ৫.৮৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬.৪৫ টাকা, বাণিজ্যিক ৯.৪৭ টাকা থেকে ১১.৩৬ এবং যানবাহনে ব্যবহৃত সিএনজি ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৫ টাকা করা হয়েছে।
সিএনজির দাম সর্বশেষ ২০১১ সালের ১৯ সেপ্টম্বর ২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছিলো। এর মাত্র ৫ মাস আগে ১৬.৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ টাকা করা হয়।
অন্যদিকে, ২০০৯ সালে সব ধরনের গ্যাসের মূল্য ১১ দশমিক ২২ শতাংশ বাড়িয়ে ছিল বিইআরসি।
এবারই প্রথম গণশুনানির মাধ্যমে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এ জন্য গত ফেব্রুয়ারি মাসে গণশুনানি গ্রহণ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল-গণশুনানিতে সবগুলো বিতরণ কোম্পানি তাদের দাম বৃদ্ধির যৌক্তিকতা প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। তারপরও কেন গ্যাসের দাম বাড়ানো হলো?
এমন প্রশ্নের জবাবে এ আর খান বলেন, সবকিছুর যৌক্তিক মূল্যায়ন করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তারা অনেক বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিলো। কিন্তু অনেক কম পরিমাণে বাড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৫
এসআই/টিআই