ঢাকা: মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে কার্যকর হচ্ছে বিদ্যুৎ গ্যাসের বর্ধিত মূল্য। বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য এখনই আঁচ করতে না পারলেও সিএনজি ব্যবহারকারিরা সকালেই পাবেন এর উত্তাপ।
আগে প্রতি ঘনমিটার সিএনজির দাম ছিল ৩০ টাকা। মঙ্গলবার ভোররাত থেকে সিএনজি ব্যবহারকারিদের ৩৫ টাকা হারে পরিশোধ করতে হবে। পাশাপাশি আবাসিকে প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারকারিদের বর্ধিত মূল্যে অর্থ কাটা হবে। আবাসিকে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ৫.১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭ টাকা করা হয়েছে।
অন্যদিকে মিটারবিহীন আবাসিক গ্রাহকদের এক চুলা প্রতিমাসে ৬শ’ টাকা ও দুই চুলা ব্যবহারের জন্য ৬৫০ টাকা পরিশোধ করতে হবে মাস শেষে। যা পূর্বে ছিল যথাক্রমে ৪শ’ ও ৪৫০ টাকা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেন বিইআরসি চেয়ারম্যান এ আর খান। সবচেয়ে বেশি দাম বাড়ানো হয়েছে ক্যাপটিভ পাওয়ারে (ব্যক্তিগত কারখানার জন্য জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন)। এই খাতে পূর্বে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ছিল ৪.১৮ টাকা। যা এখন থেকে ৮.৩৬ টাকা হারে পরিশোধ করতে হবে।
শিল্পে প্রতি ঘনমিটার ৫.৮৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬.৪৫ টাকা, চা বাগানে ৫.৮৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬.৪৫ টাকা, বাণিজ্যিক ৯.৪৭ টাকা থেকে ১১.৩৬ টাকা করা হয়েছে। ২০০৯ সালে সব ধরনের গ্যাসের মূল্য ১১ দশমিক ২২ শতাংশ বাড়ানো হয়। আর ২০১১ সালের ১৯ সেপ্টম্বর ২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছিলো সিএনজির দাম। এর মাত্র ৫ মাস আগে ১৬.৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ টাকা করা হয়েছিলো সিএনজি।
অন্যদিকে বর্ধিত মূল্যও মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হচ্ছে। একই দিনে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম গড়ে ২.৯৩ শতাংশ হারে বাড়ানো হয়েছে।
গ্যাসের এই মূল্য বৃদ্ধির কারণে বাস মালিকরা ভাড়া বাড়াতে তোড়জোড় শুরু করেছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এখনই বাড়ছে না বাস ভাড়া।
সব পক্ষের সঙ্গে বসে বাস ভাড়া চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধিতে সোচ্চার হয়েছে সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তারা দাবি করেছে, এতে জনগণের দুর্ভোগ বেড়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৫
এসআই/টিআই/এটি