ঢাকা: বাতাসের গতি কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে এই বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।
সূত্র আরও জানায়, সাসটেইনেবল রিনিউয়েবল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট (এসআরইডিএ) লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়েও বায়ু সম্পদকে আরও ব্যবহার উপযোগী করা হবে। গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন কমানোর জন্য কমপক্ষে ১০ ভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস থেকে আসা জরুরি। এ লক্ষে বায়ু সম্পদ কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। দেশের কোথায় বায়ুর গতি বেশি এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের উপযোগী সে বিষয়ে দুই বছর ধরে ম্যাপিং করা হবে। যেখানে বায়ুর গতিবেগ বেশি সেখানে ১২টি উইন্ড টারবাইন স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার মাত্র ২ শতাংশ। সরকার ২০২০ সালের মধ্যে সারাদেশে বিদ্যুতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৫ থেকে ১০ শতাংশ। সেই লক্ষ্যে ব্যপক পরিসরে বায়ু সম্পদকে কাজে লাগানো হবে।
‘টেকনিক্যাল অ্যাসিসট্যান্স প্রজেক্ট ফর উইন্ড রিসোর্স ম্যাপিং’ প্রকল্পের আওতায় এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা। অক্টোবর ২০১৫ থেকে জুন ২০১৮ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম-সচিব(উন্নয়ন) আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আগামীতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে আরও গুরুত্ত্ব দেয়া হবে। সেই লক্ষ্যে বায়ু সম্পদকে কাজে লাগানো হবে। দুই বছর উইন্ড ম্যাপিং কাজ করবো। এতে দেখবো কোথায় উইন্ড টারবাইন লাগানোর উপযোগী। এর পরে উপযুক্ত স্থানে ১২টি টারবাইন স্থাপন করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।
প্রকল্পের আওতায় টাওয়ার সিস্টেম ও উইন্ড ম্যাপিং যন্ত্রপাতি কেনাসহ বায়ু সম্পদ ব্যবহারে নানা কর্মসূচি নেওয়া হবে। উপকূলীয় ১২টি স্থানে সোডার টাওয়ার স্থাপন করা হবে। বায়ু সম্পদ ব্যবহারের জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন (ইপিসি) অব উইন্ড স্ট্যাডি খাতে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের অধিকাংশ ছোট শহরে বিদ্যুৎ সরবারহ সহজ হবে। একই সঙ্গে দেশের গ্রামীণ এলাকার পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ত্বরাণ্বিত হবে বলে আশাবাদী বিদ্যুৎ বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৫
এমআইএস/