ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

খুঁটি-তারে ১০ বছরে আসেনি বিদ্যুৎ!

সাজ্জাদুর রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৬
খুঁটি-তারে ১০ বছরে আসেনি বিদ্যুৎ! ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

লক্ষ্মীপুর: গ্রামের সাধারণ মানুষকে বিদ্যুতায়নের আওতায় আনতে বসেছে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি। টাঙানো হয়েছে তার।

এমনকি, ঘরে ঘরে দেওয়া হয়েছে সংযোগও।

বিজলি বাতির আলো পাওয়ার আনন্দে গ্রাহকরা অতিরিক্ত পয়সা খরচ করে শেষ করেছেন ওয়্যারিংয়ের কাজ। এরপর শুধু বিদ্যুৎ আসার প্রতীক্ষা।

সেই যে ১০ বছর আগে বিদ্যুৎ পাওয়ার যে প্রতীক্ষা শুরু হয়েছিল, তা আজও শেষ হয়নি লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চর ফলকন ইউনিয়নের মাওলানা পাড়ার ৮০ পরিবারের।

আনুষঙ্গিক সব থাকলেও গত ১০ বছরেও বিদ্যুৎ পাননি গ্রামের ওই বাসিন্দারা। আলোর অপেক্ষায় সমস্ত আয়োজন শেষ করে এনেও তাই ১০ বছর ধরে অন্ধকারে বসবাস করছেন এসব বাসিন্দারা।

সম্প্রতি সরেজমিনে মাওলানা পাড়া ঘুরে এ ঘটনার সত্যতা মেলে। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০০৬ সালে মাওলানা পাড়ার ৮০টি পরিবারের জন্য বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপন করা হয়। কিছুদিনের মধ্যে খুঁটিতে তার লাগানো হয়।

বিদ্যুতপ্রাপ্তির আশায় গ্রাহকরা নিজেদের বাড়িতে ওয়্যারিং, আর্থিং রড ও মিটার বোর্ড স্থাপনসহ যাবতীয় কাজ করে রাখেন। কিন্তু আজ, কাল, পরশু করে কেটে গেছে ১০ বছর। কিন্তু দীর্ঘ এ সময়েও বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা হয়নি।

দীর্ঘ সময়েও বিদ্যুৎ না পাওয়ায় চরম বিক্ষুব্ধ মাওলানা পাড়ার হাজী সৈয়দ আহমেদের বাড়ির ৫টি পরিবার, চৌধুরী মিয়ার বাড়ির ৪টি পরিবার, কালার বাপের বাড়ির ৪টি পরিবার, ওসমান গণির বাড়ির ৫টি পরিবার, লেদু হাজীর বাড়ির ৬টি পরিবার, ঝলকার বাপের বাড়ির ১০টি পরিবার, মৌলভী সাহেবের বাড়ির ৪টি পরিবারসহ ৮০টি পরিবারের লোকজন।

তারা জানান, দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ চালুর আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু এরপরও বিদ্যুৎ পৌঁছেনি।

ভুক্তভোগী সাইফ উল্লাহসহ কয়েকজন জানান, বিদ্যুতের আশায় ১০ বছর ধরে অপেক্ষা করছেন। ঘরের ওয়্যারিং নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্রে থেকেও বিদ্যুৎ না পাওয়া তাদের জন্য অভিশাপ।

এ বিষয়ে স্থানীয় চর ফলকন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এএনএম আশরাফ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভা ও বিদ্যু‍ৎ কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার বলা হলেও কাজ হয়নি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কমলনগর উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ শাকায়াত উল্লাহ বলেন, আমি নতুন এসেছি। এ ব্যাপারে জানা নেই। রামগতি বিদ্যুৎ অফিস বিষয়টি বলতে পারবে।

যোগাযোগ করা হলে রামগতি পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম এমরান গণি বলেন, বিষয়টি আমরা অবগত। ঝড়ে বিদ্যুৎ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এছাড়া নানা সমস্যার কারণে সংযোগ চালু করা সম্ভব হয়নি। সব কিছু ঠিকঠাক করে দ্রুত সংযোগ চালু করতে ঠিকাদারকে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৩৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৬
এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।