ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

৪ কোটি মানুষের ক্ষতি করে বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে পারে না

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০২ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৬
৪ কোটি মানুষের ক্ষতি করে বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে পারে না ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বাগেরহাট: তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, উপকূলীয় এলাকার প্রায় চার কোটি মানুষের ক্ষতি করে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে পারে না।

রোববার (১৩ মার্চ) দুপুরে বাগেরহাটে জনযাত্রায় এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।



বিদ্যু‍ৎ কেন্দ্রের বিকল্প আছে কিন্তু সুন্দরবনের বিকল্প নাই উল্লেখ করে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, সরকার বলছে বিদ্যুৎ প্রকল্প হলে এখানে অনেক লোকের কর্মসংস্থান হবে। কিন্তু আসলে বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলে এই এলাকার ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ক্ষতি হবে।

এদিন দুপুর ২টার দিকে খুলনা-মংলা মহাসড়কের বাগেরহাটের কাটাখালী মোড়ে মিছিল, সমাবেশ ও ঘোষণা পাঠের মধ্য দিয়ে তাদের চারদিনের কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

এর আগে তারা সড়কপথে খুলনা থেকে বাগেরহাট শহরে পৌঁছে একটি মিছিল করে। এ জনযাত্রায় বিভিন্ন বাম ধারার রাজনৈতিক দলের শত শত নেতাকর্মী অংশ নেন।

তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সরদার রুহিন হোসেন প্রিন্স, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য বিমল বিশ্বাস, গণসংহতি সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকী, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশিদ ফিরোজ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের নেতা নজরুল ইসলাম, ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জিলানী শুভ, জেলা কমিটির আহ্বায়ক রনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও সদস্য সচিব ফররুখ হাসান জুয়েল।
 
এ কমিটি গত বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে সমাবেশ ও মিছিল করে তাদের চারদিনের ‘জনযাত্রা’ কর্মসূচি শুরু করে।

জনযাত্রা দলটি সুন্দরবন অভিমূখে যাওয়ার পথে মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, যশোর, খুলনার বিভিন্ন স্থানে পথসভা ও সমাবেশ করে।

২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে একই দাবিতে সুন্দরবন অভিমুখে লংমার্চ করেছিল তেলগ্যাস রক্ষা কমিটি।

তেলগ্যাস রক্ষা কমিটিসহ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পরিবেশবাদী সংগঠন সুন্দরবনের কাছে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিরোধীতা করে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। তারা বলছে এখানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হলে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। তবে সরকার শুরু থেকেই বলছে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ দূষণ ও প্রতিবেশ যাতে নষ্ট না হয়, সে ব্যাপারে সর্তক থেকেই এটি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সরকার বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার সাপমারী-কৈর্গদাসকাঠি মৌজায় এক হাজার ৭৩৪ একর জমি অধিগ্রহণ করে সেখানে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ২০১১ সালে সমঝোতা স্মারকের পর ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি ভারতের সঙ্গে চুক্তি করে।

এ কেন্দ্রের নাম দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড যার সমান অংশীদার থাকবে দুই দেশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৬
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।