ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

আরও ৮ হাজার কিলোমিটার নতুন সঞ্চালন লাইন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৬
আরও ৮ হাজার কিলোমিটার নতুন সঞ্চালন লাইন

নির্ভরযোগ্য ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ বিতরণের লক্ষ্যে আরও ৮ হাজার কিলোমিটার নতুন সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হবে। এ লক্ষ্যে ‘পাওয়ার গ্রিড নেটওয়ার্ক স্ট্রেনদেনিং প্রজেক্ট আন্ডার পিজিসিবি’ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা: নির্ভরযোগ্য ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ বিতরণের লক্ষ্যে আরও ৮ হাজার কিলোমিটার নতুন সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হবে। এ লক্ষ্যে ‘পাওয়ার গ্রিড নেটওয়ার্ক স্ট্রেনদেনিং প্রজেক্ট আন্ডার পিজিসিবি’ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এটিসহ ২২ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০টি উন্নয়ন প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
 
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর শেরে বাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রকল্পগুলোর বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

 

তিনি জানান, এসব প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে প্রকল্প সাহায্য পাওয়া যাবে ১৩ হাজার ৬২৩ কোটি টাকা। বাকি টাকা সরকার (জিওবি) দেবে।

বিদ্যুৎ খাতের মাস্টারপ্ল্যান অনুসারে ২০২১ সাল নাগাদ ২৪ হাজার ও ২০৩০ সালে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে। উৎপাদিত বিদ্যুৎ সঠিকভাবে বিতরণের জন্য ৮ হাজার কিলোমিটার নতুন সঞ্চালন লাইন নির্মাণের লক্ষ্যে প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এ প্রকল্পের মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৭০৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এর মধ্যে প্রকল্প সাহায্য ৯ হাজার ৭০৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা।

প্রকল্পটি ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের জুন মাস মেয়াদে বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পের আওতায় ৫০ হাজার এমভিএ ক্ষমতার বিভিন্ন ভোল্টেজ লেভেলের ১৫০টি উপকেন্দ্রও নির্মাণ করা হবে।

একনেক সভায় অনুমোদিত ‘বিসিক শিল্পপার্ক, সিরাজগঞ্জ’ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬২৮ কোটি ১০ লাখ টাকা এবং ‘মুরাদনগর ২নং গেট ও জিইসি জংশন ফ্লাইওভার নির্মাণ’ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৯৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। ৩৬৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘ ঢাকার গুলশান, ধানমণ্ডি ও মোহাম্মপুরে ২০টি পরিত্যক্ত বাড়িতে ৩৯৮টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ’ প্রকল্পেরও অনুমোদন দেওয়া হয় একনেক সভায়।
 
‘টঙ্গী-কালিগঞ্জ-ঘোড়াশাল-পাঁচদোনা আঞ্চলিক মহাসড়কের শহীদ ময়েজউদ্দিন সেতু থেকে পাঁচদোনা পর্যন্ত অংশ জাতীয় মহসড়ক মানে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পটি ৮২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা ব্যয়ে এবং ‘কক্সবাজার জেলার বাঁকখালী নদী বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন, সেচ ও ড্রেজিং’ প্রকল্পটি ২০৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অপারেশন সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ’ প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ২০০ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
 
এছাড়াও বিতরণ ব্যবস্থার ক্ষমতাবর্ধন, পুনর্বাসন ও নিবিড়িকরণ (ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ)’ প্রকল্পের অনুমোদন দেয় একনেক। প্রকল্পের মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৪০৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এ প্রকল্পের এলাকা আরইবি’র আওতাধীন ৪২টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস)। ৫১৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘গ্যাস ট্রান্সমিশন ক্যাপাসিটি  এক্সপানশন-আশুগঞ্জ টু বাখরাবাদ’ প্রকল্পটিও অনুমোদন পেয়েছে একনেক সভায়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৬
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।