ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

রাশিয়ার সহায়তায় তুরস্কে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭
রাশিয়ার সহায়তায় তুরস্কে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আকুইয়ু পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সাইটে আয়োজিত অনুষ্ঠান

ঢাকা: তুর্কী পারমাণবিক শক্তি এজেন্সি কর্তৃক প্রদত্ত সীমিত নির্মাণ অনুমতির ভিত্তিতে এবং রুশ রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি কর্পোরেশন-রসাটমের সহায়তায় তুরস্ক তাদের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সূচনা করেছে।

এ উপলক্ষে গত ১০ ডিসেম্বর আকুইয়ু পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সাইটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচোভ এবং তুরস্কের এনার্জি ও পরিবেশ সম্পদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ফাতিহ ডনমেজসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

চলতি বছরের ১৯ অক্টোবর আকুইয়ু পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য সীমিত নির্মাণ অনুমতি (এলসিপি) প্রদান করা হয়- যা ছিল মূল কন্সট্রাকশন লাইসেন্স প্রাপ্তির প্রথম ধাপ।

 

এলসিপির অধীনে ইউনিট-১ এর ফাউন্ডেশন পিটের নির্মাণ (ডিজাইন পূর্ববর্তী লেভেল), মূল এবং সহায়ক বিল্ডিংয়ের ফাউন্ডেশন প্লেট প্রস্তুতকরণ, কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ, ড্রেনেজ চ্যানেল নির্মাণ, অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ, ফায়ার স্টেশন স্থাপনসহ বিভিন্ন কাজের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

আকুইয়ু পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৩+ প্রজন্মের রুশ ডিজাইনের ভিভিইআর ১২০০ রিঅ্যাক্টর স্থাপন করা হবে। উল্লেখ্য, এ ডিজাইনের রিঅ্যাক্টরগুলো ফুকুশিমা পরবর্তী নিরাপত্তা চাহিদা পূরণে সক্ষম।  

সম্প্রতি বাংলাদেশের পাবনা জেলার রূপপুরে যে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়েছে সেখানেও অনুরূপ দুটি রিঅ্যাক্টর স্থাপিত হবে। ভারতের কুদানকুলাম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের পর যে দ্বিতীয় সাইটটিতে রাশিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করবে সেখানেও একই রিঅ্যাক্টর অফার করা হয়েছে।

আকুইয়ু পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প সাইটের নির্মাণকাজ পরিচালনার পাশাপাশি পরিবেশ মনিটরিংয়ের কাজ ও সম্পাদন করা হচ্ছে। নিয়মিতভাবে ভূমিকম্প, জলবায়ু, ভূগর্ভস্থ পানি এবং সামুদ্রিক পরিবেশ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য মনিটরিং করা হচ্ছে। সকল নির্মাণকাজ পরিচালিত হচ্ছে তুরস্কের আইন অনুসরণ করে এবং তুর্কী পারমাণবিক শক্তি এজেন্সির সরাসরি অংশগ্রহণ ও সমন্বয়ের মাধ্যমে।

আকুইয়ু পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পটি তুর্কী নির্মাণ ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করেছে। প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী তুর্কী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রকল্পটির নির্মাণকাজের ৩৫-৪০ শতাংশ সম্পাদন করার সুযোগ পাবে, যার মূল্য হবে আনুমানিক ৬-৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

আকুইয়ু পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মালিক প্রতিষ্ঠান ‘আকুইয়ু নিউক্লিয়ার’ আগামী বছরের মার্চ মাসে নির্মাণ লাইসেন্স পাওয়ার পরিকল্পনা করছে। লাইসেন্স পাওয়ার পর রিঅ্যাক্টর ফাউন্ডেশন প্লেটে ‘প্রথম কংক্রিট ঢালাই’ এর মাধ্যমে মূল নির্মাণকাজের সূচনা করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭ 
এসকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।