চায়না কোম্পানি কনসোর্টিয়াম অব চ্যাংজু হু টাং কোল পাওয়ার লিমিটেড এবং বাংলাদেশের কোম্পানি বাংলাদেশ অ্যান্ড চেস পাওয়ার লিমিটেড যৌথভাবে এ কেন্দ্র স্থাপন করবে। ১৫ বছর মেয়াদি এ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরকার ৮ টাকা ২৮৬৮ পয়সায় প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ কিনবে।
বুধবার (১৪ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এছাড়াও ভারতের খোলা বাজার থেকে কেনা ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রতি কিলোওয়াট-ঘণ্টা ৫ টাকা ৯৮৫৯ পয়সা এ বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। এতে ব্যয় হবে ৬১৬ কোটি টাকা। বিদ্যুৎ আমদানিতে ২০১৪ সালের জুলাই থেকে ভারতের পিটিসির সঙ্গে করা চুক্তির মেয়াদ ২০১৬ সালের ৩১ জুলাই শেষ হয়। আলোচনার মাধ্যমে চুক্তির মেয়াদ তিন দফায় ছয়মাস করে বৃদ্ধি করা হয়। যার মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি।
বৈঠকে এনইপিসি কনসোর্টিয়াম পাওয়ার লিমিটেড পরিচালিত হরিপুর ১১০ মেগাওয়াট ডুয়েল-ফুয়েলভিত্তিক বার্জ মাউন্টেড বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আরও দুই বছর ১৫ টাকা ৪৪ পয়সায় প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ ক্রয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন ‘ঢাকাস্থ লালমাটিয়া নিউকলোনিতে ৭টি জরাজীর্ণ ভবনের স্থলে ১২০টি (সংশোধিত ১৩০টি) আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ভবন নির্মাণ কাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর আগে এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছিলো ৩২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। সেটা ৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা বেড়ে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৪১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
এলজিইডি বাস্তবায়নাধীন পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলাধীন জগন্নাথকাঠি চন্দনকাটি জিসি সড়কে ১৫ হাজার ৩৫০ মিটার চেইনেজে কালিগঙ্গা নদীর ওপর ৬০০ মিটার ব্রিজ নির্মাণ, কুমিল্লা (টমছম ব্রিজ) নোয়াখালি (বেগমগঞ্জ) আঞ্চলিক মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর ১ ও প্যাকেজ নম্বর ৩ এর দু’টি আলাদা ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৮
এসই/জিপি