তিনি বলেছেন, আশা করছি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাবেন। আইন মতে যেভাবে দোকান চালু রাখা সেভাবে করবেন।
চলতি গ্রীষ্ম মৌসুম ও আসন্ন রমজান মাসে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির সার্বিক বিষয়ে আলোচনার জন্য বৃহস্পতিবার (০৩ মে) বিদ্যুৎ ভবনে সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ মাসে জাতীয় গ্রিডে আরো এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হবে জানিয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ এখন যথেষ্ট আছে। আমি কাস্টমার খুঁজতেছি বিদ্যুৎ বিক্রির জন্য। যতো বেশি বিদ্যুৎ দেব, ততো বেশি বিক্রি হবে।
রমজানে যাতে কেউ ষড়যন্ত্র করে বিদ্যুতের লাইন বন্ধ না রাখে সে ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
বিতরণ কোম্পানিগুলোকে লাইন সচল রাখার নির্দেশ দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ মাসের পর থেকে অবৈধ লাইন কাটা শুরু হবে। এটাতে আপনারা বাধা দিবেন না। আমাকে দিয়ে অবৈধ কাজ হবে না। তিনি বলেন, অনেক মার্কেটের বিদ্যুতের বিল বাকি। আমার কাছে তদবির আসে। আপনারা এটা একটু দেখেন।
তিনি বলেন, বিদ্যুতের জন্য এ বছর ২১ বিলিয়ন ডলার লাগছে, আগামী ৫ বছরে ৬০ বিলিয়ন ডলার লাগবে।
পুরান ঢাকায় বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সংযোগে সমস্যা হয় জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাব স্টেশন বসানোর জন্য গত এক বছর ধরে চেষ্টা করেও সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে সহযোগিতা পাচ্ছি না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রি-পেইড মিটার দিচ্ছি। বিল ছাড়া বিদ্যুৎ চলবে না। বিতরণ কোম্পানিকে গ্রাহকদের দলীল নেওয়া বন্ধ করার নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী। সরকারি অফিস, মার্কেট এবং বাণিজ্যিক এলাকায় আগে প্রি-পেইড মিটার দেওয়ারও নির্দেশ দেন।
বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানে একটা ইউনিক নম্বর দিয়ে কল সেন্টার করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।
বিদ্যুৎ সচিব আহমেদ কায়কাউস ছাড়াও বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৮
এমআইএইচ/এসএইচ