তিনি বলেন, এক্ষেত্রে অভিজাত এলাকাগুলোকে অটোমেটিক সেন্সর সিস্টেমের আওতায় আনতে হবে। এতে বিদ্যুতের অনেক সাশ্রয় হবে।
বুধবার (৩০ মে) রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে বাংলাদেশ এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার রিসার্চ কাউন্সিল আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
তৌফিক-ই-এলাহী বলেন, গুলশান, বনানী, বারিধারা অঞ্চলে এখন অনেক বিদ্যুতের অপচয় হয়। ওইসব অঞ্চলগুলোকে একটা জালের মধ্যে আনতে হবে। যাতে অপচয় রোধ করা যায়। এক্ষেত্রে অটোমেটিক সিস্টেম চালু করলে বিদ্যুতের অপচয় রোধ হবে। সেখানে অটোমেটিকভাবে এটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
বায়ুবিদ্যুৎ নিয়ে তিনি বলেন, আমরা এখন গ্যাস, তেলের ওপর অনেকটা নির্ভর। এর নির্ভরতা কমিয়ে বায়ুবিদ্যুৎ নিয়ে আরও গবেষণা করতে হবে। কোন এলাকাতে এ বিদ্যুতের ব্যবস্থা করলে ভালো হবে, সেটা দেখতে হবে।
এসময় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, কিভাবে পাওয়ার সেক্টরে বিদ্যুতের অপচয় রোধ করা যায়, সেটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। পাশাপাশি টেকনোলজির ওপর আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে।
তরুণদের প্রতি নসরুল বলেন, তোমাদের টেকনোলজি নিয়ে ভাবতে হবে। অনেকের এটার প্রতি আগ্রহ নেই। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কারণ এখন প্রতি সেকেন্ডেই টেকনোলজির পরিবর্তন হচ্ছে। তোমরা টেকনোলজির দিকে না গেলে পিছিয়ে পড়তে হবে অনেক।
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস বলেন, ১৯৭১ সালের সঙ্গে আমাদের মৌলিক পার্থক্য হলো- আমরা এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। একাত্তরে জনসংখ্যা কম থাকার পরও খাদ্য ঘাটতি ছিল কিন্তু এখন সেটা নেই। আমরা এখন বিদ্যুতের দিকে যাচ্ছি। বিদ্যুতের অনেক উন্নত হয়েছে, হচ্ছেও।
অনুষ্ঠানে কি-নোট উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক এস শাহনেওয়াজ আহমেদ ও আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক তারেক আজিজ।
অধ্যাপক এস শাহনেওয়াজ আহমেদ বলেন, বিদ্যুতের অপচয় রোধে কমার্শিয়াল ও আবাসিক এলাকায় অটোমেটিক সেন্সর বসানো যায়। এতে খুব বেশি খরচ হয় না। আবার বিদ্যুতের অপচয় রোধ করা যায়। একটি সেন্সর বসালে অতিরিক্ত সময়ে বিদ্যুতের অপচয় হলে সেটা অটোমেটিকভাবেই বন্ধ হয়ে যাবে। এজন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে গুণতে হবে মাত্র ২০০ থেকে ৮০০ টাকা।
অনুষ্ঠানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার (ইউএসএআইডি) প্রতিনিধিরা বায়ুবিদ্যুৎ নিয়ে মতামত উপস্থাপন করেন।
তারা বলেন, বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে বাতাসের যে গতি, তাতে সেখানে ১০ থেকে ২০ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। একই সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চল বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য উপযোগী স্থান বলেও তারা উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার রিসার্চ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শাহিন আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত সেমিনারে বিদ্যুৎ বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৮
ইএআর/টিএ