সোমবার (০৪ জুন) সকালে ওই স্থানে পরীক্ষামূলক গ্যাস উত্তোলন শুরু করা হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে সংযোগ দেওয়া যাবে বলে জানান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) কর্মকর্তারা।
প্রকল্পের খনন অনুসন্ধান কর্মকর্তারা জানান, গ্যাস ফিল্ডের তিন নম্বর জোনে সকাল ১০টার দিকে গ্যাসের প্রবাহ দেখে সেখানে আগুন দেওয়া হয়। তবে আগামী দুইদিন কূপে গ্যাসের প্রবাহ রেকর্ড করে এখানে কী পরিমাণ গ্যাস রয়েছে এবং উত্তোলন কতটা লাভজনক হবে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।
প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর কূপটিতে গ্যাস মজুদ রয়েছে বলে পেট্রোবাংলাকে রিপোর্ট দাখিল করা হয়েছে। ওই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে বাপেক্স’র পরিচালনা পর্ষদ প্রকল্পটি খননের উদ্যোগ নেয়।
বাপেক্স’র ডিরেক্টর অপারেশন তোফায়েল আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, প্রকল্পের আওতায় কেয়ার্ন কর্তৃক চিহ্নিত এলাকায় ২ডি সাইসমিক সার্ভে পরিচালনার মাধ্যমে আহরিত উপাত্ত ও নমুনা বিশ্লেষণ করে কূপ খননের স্থান চিহ্নিত করার পর প্রায় ৩ হাজার ৫০০ মিটার (সাড়ে তিন কিলোমিটার) গভীর অনুসন্ধান কূপ খনন এবং কূপ পরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।
এ গ্যাস নোয়াখালীসহ দেশের শিল্প ও বাণিজ্যিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর জেলায় বিরাজমান গ্যাস সংকট নিরসনে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০১৮
এনটি