নসরুল হামিদ বৃহস্পতিবার (২১ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা জানান।
আওয়ামী লীগের সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নোত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা বেশি থাকলে সাধারণত বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকে না।
আওয়ামী লীগের সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের প্রশ্নের উত্তরে নসরুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ পল্লি বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আওতাধীন এলাকায় ইতোমধ্যে ৯০ শতাংশ গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছানো হয়েছে। অবশিষ্ট ১০ শতাংশ গ্রামে বিদ্যুতায়নের কাজ চলছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে শতভাগ গ্রামে বিদ্যুৎতায়ন সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।
ওয়ার্কার্স পার্টির সংসদ সদস্য হাজেরা খাতুনের প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকার সবার জন্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট ও ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নিয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রাথমিক জ্বালানির সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ফলে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জ্বালানি বহুমুখীকরণ (দেশীয় ও আমদানি করা কয়লা, গ্যাস ও এলএনজি, তরল জ্বালানি) ও বিদ্যুৎ আমদানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকার গৃহস্থালিতে এলপি গ্যাস ব্যবহারকে উৎসাহিত করছে। এজন্য শিল্প-কারখানায় সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহারকে উৎসাহিত করে গৃহস্থালিতে পাইপ লাইনে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৮
এসকে/আরআর