ভূগর্ভে ২০১০ নং ফেসে মজুদ শেষ হওয়ায় বর্তমানে বড়পুকুরিয়া খনি থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। এ কারণে সৃষ্ট সংকটে চিন্তিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, ২০১৭ সাল থেকে বড় পুকুরিয়ার ২০১০ নং ফেসে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। প্রায় বছর খানেক ভূগর্ভের এই ফেস থেকে প্রায় ৫ লাখ ৮৫ হাজার টন কয়লা উত্তোলন করা হয়। গত জুন মাসের মাঝামাঝিতে ২০১০ নং ফেসে কয়লার মজুদ শেষ হওয়ায় বর্তমানে কয়লা খনিতে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। নতুনভাবে ১৩১৪ নং ফেসে উত্তোলন কার্যক্রম শুরু করা কাজের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বর্তমানে পুরাতন ফেসের উৎপাদিত সরঞ্জাম নতুন ফেসে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নতুন ফেসে উত্তোলন কার্যক্রম শুরু করতে আরও দুই মাস লাগবে।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহম্মদ বাংলানিউজকে বলেন, ভূগর্ভ থেকে ফেস চেঞ্জ করে অন্য ফেসে যন্ত্রপাতি স্থাপন করে কয়লা তুলতে প্রায় দুই-আড়াই মাস সময় লাগে। ভূগর্ভের ১৩১৪ নং ফেসে যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হচ্ছে। সকল প্রস্তুতি শেষ করেই আগের মতই কয়লা উত্তোলন শুরু হবে। আমাদের এখান থেকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ করা হচ্ছে। কয়লার কোন ঘাটতি নেই।
বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সহকারী প্রধান প্রকৌশলী মো. মহসিন ফিরোজ বাংলানিউজকে বলেন, তৃতীয় ইউনিট চালু রয়েছে। এই ইউনিট থেকে ২৭৫ মেগাওয়াট উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। অপরদিকে, বন্ধ হওয়া দুটি ইউনিটের ওভার হোলিংয়ের মেরামত কাজ চীনা সিএমসি করছে। মেরামত কাজ শেষ হলেই দুটি ইউনিট চালু করা হবে। তবে কয়লা সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রতিদিন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটে ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার মেট্রিকটন কয়লা জ্বালানিতে প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০১৮
এনটি