বুধবার (২৫ জুলাই) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে ক্যাবের মতামত ও সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়। এতে ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমানসহ অন্য বক্তারা এ তথ্য তুলে ধরেন।
আয়োজনে বলা হয়, গ্যাস সরবরাহে যদি সম্পদ ব্যবহার হয়, তাহলে যতটুকু ব্যবহারে থাকে শুধু ততটুকুই অবচয় ও রিটার্নে অন্তর্ভুক্ত হবে। অথচ চার্জ নির্ধারণে এ বিধানের ব্যত্যয় ঘটেছে। এলএনজি ব্যবহারে না আসায় এলএনজি সরবরাহ ব্যয়হার অন্তর্ভুক্ত করে গ্যাসের মূল্যহার বৃদ্ধির প্রস্তাব আমলে নেওয়া যায় না। অথচ তা আমলে নেওয়া হয়েছে।
মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব ও তার ওপর কারিগরি কমিটির প্রতিবেদন গণশুনানিতে আসেনি, তাই এ শুনানির ভিত্তিতে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতেও এসময় আপত্তি জানায় ক্যাব।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, সংবিধান মতে কোম্পানিগুলো জনগণের। কোম্পানির মুনাফাও জনগণের। তা সরকারের ডিভিডেন্ট ধরে মূল্যহার নির্ধারণে আপত্তি রয়েছে। এছাড়া অবচয় ও রিটার্ন নির্ণয়ের আইনি ব্যত্যয়ে এসময় আপত্তি জানায় ক্যাব। একইসঙ্গে এসময় গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি না করার জন্য ১২টি প্রস্তাব ও সুপারিশ জানায় ক্যাব।
এগুলো হলো- ঘাটতি সমন্বয় করে ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি না করা, বিধানমতে চার্জ বা মার্জিন নির্ধারণের ক্ষেত্রে সম্পদ যতটুকু ব্যবহার থাকবে ঠিক ততটুকুর ভিত্তিতে অবচয় ও রিটার্ন নির্ধারণ করতে হবে, তিতাসের বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে বিদ্যমান ব্যবস্থা স্টাডি হতে হবে এবং সে স্টাডির ভিত্তিতে ত্রুটি-বিচ্যুতি চিহ্নিত করে বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্ল্যান ও ডিজাইন হতে হবে।
এছাড়া সেটা বিআরসির অনুমোদনের পর বাস্তবায়ন হতে হবে। গ্যাস খাতের শতভাগ মালিকানা জনগণের নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যক্তিখাতে শেয়ার বিক্রি নিষিদ্ধ হতে হবে এবং ব্যক্তিখাত থেকে শেয়ার সরকারি খাতে ফিরিয়ে আনতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৮
এইচএমএস/এএ