ইতোমধ্যে এ কেন্দ্রের দু’টি ইউনিট থেকে সাড়ে ৪শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে আরও দু’টি ইউনিট চালু করে পুরো উৎপাদনে আনা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) তথ্যানুসন্ধানকালে জানা যায়, জিওবি ও এডিবির অর্থায়নে সিসিপিপি প্রকল্পের আওতায় বঙ্গবন্ধু সেতুর দক্ষিণ পাশে সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদ এলাকায় নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড ডিজেল চালিত এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বাস্তবায়ন করে।
২০১২ সালের ১৯ অক্টোবর ১৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে এই ইউনিটকে ৭৫ মেগাওয়াট বাড়িয়ে ২২৫ মেগাওয়াট করা হয়। যেটি ২০১৪ সালের ১৪ জুলাই উৎপাদনে যায়। চার বছর পর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ২২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দ্বিতীয় ইউনিট চালু করা হয়। তবে প্রয়োজনীয় জ্বালানী ডিজেলের যোগান না পাওয়ায় দু’টি ইউনিট একযোগে উৎপাদনে যেতে পারেনি।
চলতি মাসে দিনাজপুরের বড় পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পর্যায়ক্রমে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সংকটময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহের মাধ্যমে সিরাজগঞ্জ কমবাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দু’টি ইউনিটকে পূর্ণ উৎপাদনের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মোতাবেক চলতি মাসের ২১ তারিখ একযোগে দুই ইউনিট থেকেই উৎপাদন শুরু হয়। ফলে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর চাহিদা প্রায় সাড়ে ৬শ মেগাওয়াটের মধ্যে সাড়ে চারশ মেগাওয়াটই সরবরাহ করছে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বাকি বিদ্যুৎ কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে।
সূত্র আরও জানায়, চলতি বছরের আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে পাওয়ার প্লান্টের তৃতীয় ইউনিট থেকে ১৫০ মেগাওয়াট ও ডিসেম্বরে পূর্ণ উৎপাদনে গেলে ৭৫ মেগাওয়াট যোগ হয়ে ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। ফলে এ বছরেই সিরাজগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৬৭৫ মেগাওয়াট জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে।
সিরাজগঞ্জ কমবাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্বে) মো. শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে এখান থেকে সাড়ে ৪শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে আরও তৃতীয় ইউনিট চালুর মধ্য দিয়ে ১৫০ মেগাওয়াট ও ডিসেম্বরে আরও ৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। ২০১৯ সালের আগস্ট-সেপ্টেম্বরের দিকে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১১শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে।
তিনি বলেন, ডিজেল ও গ্যাস উভয় জ্বালানীতেই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিটগুলোর উৎপাদন চালু রাখা যাবে। তবে প্রয়োজনীয় ১১ লাখ লিটার ডিজেল অবকাঠামোগত কারণে সরবরাহ করতে পারছে না রেলওয়ে ও বিপিসি। সরকার পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহের অনুমতি দেয়ায় চলতি মাসের ২১ জুলাই থেকে দু’টি ইউনিট পূর্ণ উৎপাদনে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আশা করা যাচ্ছে দ্রুত সময়ের মধ্যে রেলওয়ের অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে বিপিসি তেলও সরবরাহ করতে পারবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৮
আরএ