রোববার (২৯ জুলাই) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল প্রকল্পের বিষয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান। তিনি জানান, সভায় মোট নয়টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এসব প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের আওতায় নেসকোর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে অগ্রিম রাজস্ব আদায়, উন্নত গ্রাহক সেবা প্রদান, নন-টেকনিক্যাল লস শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা, ডিমান্ড সাইড লোড নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা সহজতরকরণসহ বিদ্যুতের অপচয় রোধ হবে। প্রকল্পে মোট খরচ ধরা হয়েছে ৪১৪ কোটি ৮২ লাখ ৬২ হাজার টাকা।
২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে যেসব এলাকার গ্রাহকেরা প্রি-পেমেন্ট মিটার সিস্টেমের আওতায় আসবে সেগুলো হচ্ছে, রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী সিটি করপোরেশন ও পবা উপজেলা। নাটোর জেলার নাটোর সদর উপজেলা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা, বগুড়া সদর, শাহজাহানপুর এবং কাহালু উপজেলা, পাবনা সদর, দিনাজপুর সদর, ঠাকুরগাঁও সদর, পঞ্চগড় সদর, নীলফামারী সদর এবং সৈয়দপুর উপজেলা।
জানা যায়, প্রকল্পের আওতায় ৪ লাখ ৬৭হাজার ২০০টি সিংগেল ফেজ অনলাইন প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন করা হবে। এছাড়া ৩২ হাজার ৮০০টি থ্রি-ফেজ অনলাইন পেমেন্ট মিটার, ৩ হাজার ডাটা কনসেন্টেটর ইউনিট, একটিসেন্ট্রাল ডাটা সেন্টার এবং একটি মাস্টার ইনফরমেশন সেন্টার এবং একটি ডিজাস্টার রিকভারি সেন্টার স্থাপন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৮
এমআইএস/এমএ