আর বিদ্যুৎ বিলের টাকা ফুরিয়ে গেলে মোবাইলেই সংকেত বেজে উঠবে। বিদ্যুতের লোডও কন্ট্রোল করা যাবে মোবাইলের মাধ্যমে।
বর্তমানে পোস্টপেইড মিটারিং সিস্টেমে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকে। এর ফলে গ্রাহক ও সংস্থা উভয়ই বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। কিন্তু অনলাইন প্রি-পেমেন্ট মিটারিংয়ের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হবে সহজেই। ডিজিটাল পদ্ধতিতে গ্রাহক সেবার মান, লোড ব্যবস্থাপনা, রাজস্ব আদায় অধিকতর উন্নয়ন করা সম্ভব হবে বলে মনে করে সরকার।
দুই লাখ অনলাইন স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার কানেক্টিভিটির জন্যই মূলত অনলাইন নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা করা হবে।
ডেসকো’র আওতায় পর্যায়ক্রমে মোট ১০ লাখ ৫০ হাজার অনলাইন স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন করা হবে। এরইমধ্যে ২ লাখ ৩০ হাজার মিটার সংগ্রহ করা হয়েছে। নতুন করে দুই লাখ মিটার সংগ্রহ করা হবে। এলাকাগুলো হলো- মিরপুর, পল্লবী, আগারগাঁও, কাফরুল, শাহআলী, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, গুলশান, বনানী, বারিধারা, বাড্ডা, উত্তরা, উত্তরখান ও দক্ষিণখান। এছাড়া গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা প্রকল্পের আওতায় রয়েছে।
‘ডেসকো এলাকায় অনলাইন স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার সরবরাহ ও স্থাপন’ প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রকল্পটি মঙ্গলবার (০৭ আগস্ট) শেরে-বাংলানগরে এনইসি সভা জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হবে। প্রকল্পের আওতায় ১৬টি পোর্টেবল ডিজিটাল মিটার টেস্টিং স্থাপনসহ দু’টি মিটার টেস্টিং বেঞ্চ স্থাপন করা হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের প্রধান শেখ মোহাম্মদ আবদুল আহাদ বাংলানিউজকে বলেন, প্রকল্পের আওতায় অনলাইন স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার কেনার পাশাপাশি সিস্টেম ডেভেলপ করা হবে। এর ফলে মোবাইলেই বিল পাওয়া যাবে এবং পরিশোধ করা যাবে। কোথাও যেতে হবে না, ঘরে বসেই বিল কার্যক্রম সমাধান হবে। আশা করি প্রকল্পটি পাসের এক বছর পরেই কার্যক্রম শুরু হবে। ’
বর্তমানে ডেসকো এলাকায় ৫৫টি কেন্দ্রের মাধ্যমে বিল কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তাছাড়া গ্রাহকের সুবিধার্থে ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। গ্রাহকরা যাতে সহজেই অনলাইন বিল গ্রহণ ও দিতে পারেন এবং কারিগরি সেবা পেতে পারেন সেজন্য এ ব্যবস্থা। ডেসকোর সব বিতরণ কার্যক্রম অনলাইনে আনার জন্য একটি আইটি উইং স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। কারণ মেকানিক্যাল পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে প্রচুর কারিগরি সিস্টেম লস হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগের আওতায় নেসকোর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে অগ্রিম রাজস্ব আদায়, উন্নত গ্রাহক সেবা প্রদান, নন-টেকনিক্যাল লস শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা, ডিমান্ড সাইড লোড নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা সহজকরণসহ বিদ্যুতের অপচয় রোধ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৮
এমআইএস/জেডএস