মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) দুপুরে বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়া গ্যাস ক্ষেত্রের উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. মনিরুল ইসলাম। রোববার (৫ আগস্ট) রাত ১১টার পর থেকে ওই কূপ থেকে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
শাহজিবাজার ১ নম্বর কূপ ওয়ার্কওভার প্রকল্পের পরিচালক মীর মো. আশরাফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ৯০ দিন ধরে তিনিসহ ৬ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে কাজ চলার পর গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে কূপটিতে ব্যবহৃত পুরাতন সব জিনিসপত্র ফেলে নতুন করে যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়। বর্তমানে প্রতিদিন ১৬ ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে এর পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
রাষ্ট্রীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন কোম্পানি বাপেক্স’র পরিচালক (অনুসন্ধান) খন্দকার শাহজাহান বাংলানিউজকে জানান, ১৯৬৩ সালে শাহজিবাজার গ্যাসক্ষেত্রের ১ নম্বর কূপ থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। কিন্তু ২০১২ সালে এ কূপ থেকে গ্যাসের পরিবর্তে পানি বের হলে এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে নতুন গ্যাসের মজুদ অনুসন্ধান করতে শাহজিবাজার এবং সিলেটের কৈলাসটিলা গ্যাসক্ষেত্রের পরিত্যক্ত কূপে কাজ শুরুর উদ্যোগ নেয় বাপেক্স।
বেশ কিছুদিন আগে ১ নম্বর কূপে কাজ শুরু হলে ২৪ জুলাই (মঙ্গলবার) দুপুরে ওই কূপে গ্যাস রয়েছে বলে নিশ্চিত হয় বাপেক্স। প্রাথমিকভাবে ২৭৫ বিসিএফ (বিলিয়ন কিউবিক ফুট) গ্যাসের মজুদ রয়েছে বলে ধারণা করেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০১৮
এসআরএস