তিনি বলেছেন, রূপপুর প্রজেক্টের ক্ষেত্রে রাশিয়ার সঙ্গে প্রথমে চুক্তি হয়েছিল যে, রাশিয়া দেবে ৮০ শতাংশ এবং বাংলাদেশ দেবে ২০ শতাংশ। কিন্তু পরে রাশিয়া আমাদের আগ্রহ দেখে তা ৯০-১০ শতাংশ চুক্তি করেছে।
বৃহস্পতিবার (০৯ আগস্ট) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ আয়োজিত ‘নিউক্লিয়ার এনার্জি ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ: অপরচুনিটিজ অ্যান্ড চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, রূপপুরের পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রজেক্ট এদেশের একটি বিশাল অর্জন। সাধারণ জ্ঞানের ক্ষেত্রে এখন প্রশ্ন আসে যে কোন উপজেলায় প্রথম ২০ তলা ভবন নির্মিত হয়েছে? সেটা রূপপুরেই। এই প্রকল্পটি অন্য যে কোনো প্রকল্প থেকে আলাদা।
‘এটা দেশের মান বাড়ানো ছাড়াও শ্রমের মূল্যও বাড়িয়ে দেবে। স্যাটেলাইট আমাদের মর্যাদা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। পদ্মাসেতু করার আগে আমাদের অনেক অপমান করা হয়েছিল। কিন্তু এখন জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে এসে এসব কাজের সুনাম করে যায়। ’
আইইবি-এর প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুরের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনোয়ার হোসেন, আইইবি-এর সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদ, বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. আলী জুলকারনাইন, ড. প্রকৌশলী মো. মঞ্জুরুল হক, আইইবি-এর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সম্পাদক আহসান বিন বাশার (রিপন), একই বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী আবদুর রাশিদ সরকার প্রমুখ।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পারমাণবিক প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান এবং আইইবি-এর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ভাইস চেয়ারম্যান ড. প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৮
এমএএম/এমএ