সোমবার (২০ আগস্ট) বেলা আড়াইটায় বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুই নম্বর ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা হয়।
উল্লেখ্য, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কর্তৃপক্ষের সীমাহীন দায়িত্বহীনতায় জ্বালানি সংকটে পড়ে দেশের একমাত্র কয়লাভিত্তিক বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ২২ জুলাই রাত ১০টা ২০ মিনিটে বন্ধ হয়ে যায়।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (সংরক্ষণ) মাহবুবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, বড়পুকুরিয়া খনি থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মেট্রিকটন কয়লা সরবরাহ পাওয়া গেছে। কয়লা খনি টেকে প্রাপ্ত কয়লা ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইয়ার্ডে মিলে প্রায় ছয় হাজার মেট্রিকটন কয়লা মজুদ রয়েছে। তা দিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মধ্যে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুই নম্বর ইউনিটটি চালু করে তাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বেলা আড়াইটা থেকে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে লো ভোল্টেজ সমস্যা এড়াতে দুই নম্বর ইউনিটটি সাময়িকভাবে চালু করা হয়। বর্তমান মজুদ কয়লা দিয়ে ইউনিটটি ছয়/সাতদিন চালু রাখা যাবে।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ২৪ জুলাই থেকে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে পাঁচ হাজার ৩৯৭.৩২ মেট্রিকটন কয়লা সরবরাহ করা হয়েছে। খনির ১৩১৪ নম্বর ফেইজ উন্নয়নকালে এ কয়লা উত্তোলন করা হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১২১০ নম্বর ফেইজে ব্যবহৃত উৎপাদন যন্ত্রপাতি সরিয়ে এনে ১৩১৪ নম্বর ফেইজে স্থাপন কাজ শুরু করা হয়েছে। উৎপাদন যন্ত্রপাতি স্থাপন শেষে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩১৪ নম্বর ফেইজে পুরোদমে কয়লা উত্তোলন শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৮
এসআই