শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ‘এসডিজি বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ পর্যালোচনা: খাদ্য, জ্বালানি ও বৈষম্য’ শীর্ষক বার্ষিক লেকচারে এ কথা বলেন জাতিসংঘের সাবেক সহকারী মহাসচিব মালয়েশিয়ান অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক জোমো কেওমি সুনদারাম।
তিনি বলেন, প্যারিস ইউএনএফসিসিসি কপ-এ বিশ্বের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস না বাড়ানোর জন্য একমত হয়েছিলেন বিশ্বনেতারা।
২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ না কমাতে পারলে তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি বৃদ্ধি ঠেকানো সম্ভব হবে না বলেও তিনি জানান।
জোমো সুনদারাম বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে কার্বন নিঃসরণ সরাসরি জড়িত। এতে উন্নত দেশগুলো দায়ী হলেও সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে দক্ষিণের দরিদ্র দেশগুলো।
তিনি বলেন, জীবনমানের উন্নয়ন হবে, কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ কমাতেই হবে। এজন্য আরও বেশি হারে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। উন্নয়নের নতুন মেকানিজম খুঁজে বের করতে হবে। প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে।
বিশ্বে আয় বৈষম্য বেড়েই চলেছে মন্তব্য করে অধ্যাপক জোমো বলেন, দারিদ্র্য কিছুটা কমলেও পুষ্টিহীনতা (হিডেন হাঙ্গার) কমেনি। ওজনহীনতার পাশাপাশি স্থূলতা এখন বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে সরকারকে যেমন এগিয়ে আসতে হবে, সামাজিক সচেতনতাও বাড়াতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীও প্রশস্ত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান, বিশেষ ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৭
এজেড/এইচএ/