শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) বিদুৎ ও জ্বালানি মেলায় বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে এমডি বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় খনির ১৩১৪ নম্বর কোল ফেজ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে।
তিনি জানান, শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত মোট ৫২৯ দশমকি ৫০ টন কয়লা ওঠানো হয়েছে।
১৫ সেম্টেম্বর থেকে কয়লা উত্তোলনের কথা ছিল জানিয়ে এমডি বলেন, দ্রুত বাকি কাজ সম্পন্ন করায় ৮ দিন আগে থেকেই কয়লা ওঠাতে পারছি।
গত ১৫ জুন খনির উৎপাদনশীল ১২১০ নম্বর কোল ফেজের উৎপাদনযোগ্য কয়লার মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ১৬ জুন থেকে খনির কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। একই সময় খনির কোল ইয়ার্ড ও কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লার মজুদ শূন্যের কোটায় নেমে আসে। এতে কয়লার অভাবে গত ২২ জুলাই বড়পুকুরিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ফলে উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলায় বিদ্যুতের ভয়াবহ লো-ভোল্টেজ ও লোডশেডিং সমস্যা প্রকট হয়ে ওঠে।
খনির কয়লা মজুদের হিসাবে গরমিল ও ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৪ মেট্রিক টন কয়লা ঘাটতির ঘটনা প্রকাশ হয়ে পড়লে সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতিতে মামলা ও তদন্তের মধ্যেই খনির চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান, খনি কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশি খনি শ্রমিকদের ঐকান্তিক চেষ্টায় কয়লা উত্তোলন শুরু হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৮
এমএফআই/এইচএ/