এদিকে অবৈধ গ্যাস সংযোগের কারণে বৈধ নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে গ্রাহকদের। এক দিকে গ্যাসের চাপ যেমন কমে যাচ্ছে, অন্যদিকে বারবার খোঁড়াখুঁড়ি কারণে নষ্ট হচ্ছে রাস্তাঘাট।
আরও অভিযোগ, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি কর্তৃপক্ষের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীও এসব অবৈধ গ্যাস সংযোগের সঙ্গে জড়িত। তাদের এ অসাধুতার কারণে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী দক্ষিণপাড়া এলাকায় হক মেডিকেলের পূর্ব পাশের একটি নির্মাণাধীন পাঁচ তলা ভবনে দেওয়া হয়েছে অবৈধ গ্যাস সংযোগ। কিছুদিন আগে ওই ভবনের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কয়েক দিন পর ওই বাড়ি মালিক মো. সফি উদ্দিন অসাধু লোকজনের সহায়তায় আবারও গ্যাস সংযোগ পেয়ে যান। এছাড়াও বাইমাইল দক্ষিণপাড়া এলাকায় কবির হোসেন, শাহ আলম, রহিম মিয়া ও মালেক মিয়ার বাড়িসহ অসংখ্য বাড়িতে রয়েছে অবৈধ গ্যাস সংযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দা লিয়াকত আলী জানান, আমরা যারা তিতাস গ্যাসের বৈধ গ্রাহক তারা ঠিক মতো গ্যাস পাচ্ছি না। অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার কারণে আমাদের গ্যাসের চাপ কমে যাচ্ছে। এতে আমাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। মাসে মাসে বিল দিচ্ছি আবার ভোগান্তিও পোহাচ্ছি। এসব অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করলে আমাদের ভোগান্তি কমবে না। এসব সংযোগের কারণে প্রচুর গ্যাস অপচয় হচ্ছে।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি চন্দ্রা জোনাল অফিসের ব্যবস্থাপক সুরুজ আলম বাংলানিউজকে জানান, অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এসব সংযোগকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৮
আরএস/আরআইএস/এনএইচটি