সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বর্তমানে আমদানি করা তেল চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ থেকে খালাস করে চট্টগ্রাম ডিপোতে সঞ্চয় করে রাখা হয়।
পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানি সংক্রান্ত ক্রয়-বিক্রয় চুক্তি গত বছরের ২২ অক্টোবর স্বাক্ষরের পরে গত ৯ এপ্রিল সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়।
এ পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রথমে ২ দশমিক ৫ লাখ মেট্রিক টন ডিজেল সরবরাহ করা হবে প্রথম তিন বছর ধরে। পর্যায়ক্রমে এ সরবরাহের পরিমাণ বেড়ে শেষ পাঁচ বছরে ৪ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করা হবে।
বাংলাদেশের চাহিদা অনুযায়ী ভবিষ্যতে প্রয়োজনে জ্বালানি তেলের আমদানি এই পাইপলাইনের মাধ্যমে আরও বাড়ানো সম্ভব হবে। নুমালীগড় রিফাইনারি পাইপলাইনের মাধ্যমে ১৫ বছরের জন্য ডিজেল সরবরাহ করবে। উভয়পক্ষের সম্মতিতে সময় বাড়ানো যাবে।
ভারতের শিলিগুড়ি থেকে বাংলাদেশের পার্বতীপুর পর্যন্ত প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পাইপলাইন নির্মাণকাজ শেষ হলে ডিজেল বেচাকেনা চুক্তি কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ রেল ওয়াগনের মাধ্যমে ২ হাজার ২৬৮ মেট্রিক টন ডিজেল পার্বতীপুর ডিপোতে ভারতের নুমালীগড় রিফাইনারি থেকে অনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করা হয়। রেল ওয়াগনের মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে ২০১৮ সালের জুলাই পর্যন্ত প্রায় ৫৪ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আগস্ট-ডিসেম্বর পর্যন্ত আরও প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল ভারত থেকে রেল ওয়াগনের মাধ্যমে আমদানি করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৮
আরআর