ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

বাগেরহাট চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রের সৌরবিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৮
বাগেরহাট চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রের সৌরবিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রের সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র। ছবি: বাংলানিউজ

বাগেরহাট: বাগেরহাট চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রের সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৬ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে। আর এর মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে দেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটাতে চিংড়ি শিল্প অনন্য ভূমিকা রাখবে।

শনিবার (২৭ অক্টোবর) বাগেরহাট চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্র চিংড়ি ঘেরের মধ্যে সোলার প্যানেল স্থাপন বিষয়ে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী অবহিতকরণ সভায় বক্তারা এসব তথ্য জানান।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) সদস্য সিদ্দিক জোবায়ের।

 

বাগেরহাট চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. খান কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ‘সৌর নেট মিটারিং’ বিষয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এমডি শফিক উদ্দিন, জিআইজেড’র কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. অ্যাঞ্জেলিকা ফ্লেডডারম্যান, মৎস্য অধিদফতরের উপ-পরিচালক রনজিত কুমার পাল, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা কেন্দ্র খুলনার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৈয়দ লুতফার রহমান প্রমুখ।
নেট মিটারিং পদ্ধতিতে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে
কৃষক ও স্থানীয়দের জন্য মূল প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন জিআইজেড’র টিম লিডার এমডি রিয়াজ উদ্দিন, মৎস্য গবেষণা কেন্দ্রের এইচএম রাকিবুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম।

বাগেরহাট চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. খান কামাল উদ্দিন জানান, ২০১৭ সালে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে কেন্দ্রের গবেষণা ও প্রশাসনিক ভবনের ছাদে এবং পুকুর কমপ্লেক্সে ২৫ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন সোলার প্যানেল স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে স্রেডা ও জিআইজেড’র সহযোগিতায় বাগেরহাট চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুৎ নিজেরা ব্যবহার করে অবশিষ্ট বিদ্যুৎ নেট মিটারিং পদ্ধতিতে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু করা হয়। এ পদ্ধতি যদি দেশের বেশিরভাগ চিংড়ি ঘেরে স্থাপন করা যায়, তাহলে চিংড়ির উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং বিদ্যুতের চাহিদা অনেকাংশে পূরণ হবে।

বাগেরহাট ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ঘোষ বলেন, চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রে স্থাপিত সৌর প্যানেল থেকে প্রতিদিন গড়ে ১১০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। এ বিদ্যুৎ চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রে ব্যবহারের পর অবশিষ্ট বিদ্যুৎ বিশেষ (ইনভার্টার) মেশিনের মাধ্যমে স্বয়ংক্রীয়ভাবে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়।  

শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) এ প্যানেল থেকে ৬ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। দেশে এ ধরণের প্যানেল আরও বেশি স্থাপন করা হলে দেশের বিদ্যুতের চাহিদা অনেকাংশে পূরণ হবে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ  সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৮
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।