সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির শেষ সভায় এ প্রস্তাবগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম অনুমোদিত বিভিন্ন প্রস্তাব নিয়ে সাংবাদিকদের জানান, সভায় মোট ১৮টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে ১৬টি অনুমোদন দেওয়া হয়।
তিনি জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের ৫ প্রস্তাবের মধ্যে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় ১০০ মেগাওয়াট সোলার বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের ক্রয় প্রস্থাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ২ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা। প্রতি ওয়াটের দাম ধরা হয়েছে ৮ টাকা ৮৪ পয়সা। পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার অমরখানা ও শালাডাঙ্গা মৌজায় এক হাজার ৩৭১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৭ মেগাওয়াট সোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন। প্রতি ওয়াটের দাম পড়বে ৯ টাকা। একই জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলায় ৫৫৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০ ওয়াট সোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, এতে প্রতি ওয়াটে দাম পড়বে ৮ টাকা ৬০ পয়সা।
এছাড়াও নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় এক হাজার ৪৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন সোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন। প্রতি ওয়াটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ টাকা ৯৬ পয়সা। মৌলভীবাজারের সদর উপজেলায় ১০ মেগাওয়াট সোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন। এতে ব্যয় হবে ২৮৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। প্রতি ওয়াটে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ টাকা ৮০ পয়সা।
সভায় অনুমোদিত অন্যান্য প্রস্তাবগুলো হলো বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের শতভাগ পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য বিতরণ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ১০ হাজার ট্রান্সফরমার ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন। এতে ব্যয় হবে ৬১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় মহুরী বাঁধ এলাকায় ৩০ মেগাওয়াটের বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ৯৩৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। প্রতি ওয়াটের দাম ধরা হয়েছে ৮ টাকা ৮৮ পয়সা।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানীর দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধিতে রুপকল্প-১ শীর্ষক প্রকল্পের অধীন শ্রীকাইল ইস্ট-১ অনুসন্ধান কুপ খনন কার্যক্রমের জন্য মাড এবং ফুলিড ক্যামিকেল ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, একই প্রকল্পে আওতায় ২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সিমেন্টের ক্লাস নির্ণয়, পর্যবেক্ষণের জন্য ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন। অপর প্রস্তাবে সালদা নর্থ-১ অনুসন্ধান কুপের চলমান মাড লগিং সার্ভিসের মেয়াদ ৪৫ দিন বাড়ানো হয়েছে। ফলে ব্যয়ও বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
সভায় ৬টি ভেরিয়েশন প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো ইটনা-মিটামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পে ৪টি প্যাকেজ ডব্লিইউডি-১,২,৩,৪ এর আওতায় ব্লক, ব্রিজ নির্মাণ, হার্ড সোলডার, রোড, স্লোপ, লিংক রোড নির্মাণ করা।
এছাড়া ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমট্রুভমেন্ট প্রজেক্ট শীর্ষক প্রকল্পের রংপুর জোনের আওতায় ১৯টি সেতু নির্মাণ কাজের ভেরিয়েমন প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে। নির্মাণাধীন সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প জযদেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের প্যাকেজ ডব্লিইউ-৩ এর ভেরিয়েশন প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফলে প্রকল্পটির ব্যয় ৪৯ কোটি ৯ লাখ টাকা বেড়ে দাঁড়িযেছে ১৯৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৮
জিসিজি/এইচএমএস