ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

স্মার্ট গ্রিড ব্যবস্থা চালুর সুপারিশ প্রকৌশলীদের

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৯
স্মার্ট গ্রিড ব্যবস্থা চালুর সুপারিশ প্রকৌশলীদের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগ আয়োজিত এক শিরোনামে এমন মতামত দেন বিদ্যুৎ প্রকৌশলীরা

ঢাকা: জাতীয় গ্রিড ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে স্মার্ট গ্রিডে রূপান্তরের সুপারিশ করেছেন বিদ্যুৎখাত সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা। স্মার্ট গ্রিডের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে এবং উন্নত উপায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত হবে বলে মত দিয়েছেন তারা।

বুধবার (১০ এপ্রিল) ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশে (আইইবি) ইনস্টিটিউটের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগ আয়োজিত এক শিরোনামে এমন মতামত দেন বিদ্যুৎ প্রকৌশলীরা। ‘স্মার্ট গ্রিড: দ্য পাথওয়ে টু ডিজিটাল পাওয়ার সিস্টেম ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা বলেন, বিগত ১০ বছরে দেশে বিদ্যুৎখাতের অভাবনীয় সাফল্য এসেছে।

আর এটিকে অব্যাহত রাখতে হলে সময় এসেছে স্মার্ট গ্রিড ব্যবস্থা তৈরির দিকে মনোযোগী হওয়ার।  

সেমিনারে মূল প্রকল্প উপস্থাপন করেন পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জামিল আহমেদ। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় তিনি বলেন, জাতীয় গ্রিডকে স্মার্ট করতে হবে। এজন্য দেশের সব জায়গায় স্মার্ট মিটারিং অবকাঠামো তৈরি করতে হবে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় ইন্টারনেটকে যুক্ত করতে হবে যেটাকে আমরা বলছি ‘ইন্টারনেট অব এনার্জি’।  

স্মার্ট গ্রিডের উপকারিতা সম্পর্কে জানিয়ে তিনি বলেন, এই ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ সম্পর্কিত কমিউনিকেশন (যোগাযোগ), জেনারেশন (উৎপাদন) এবং ডিস্ট্রিবিউশন (সরবরাহ) স্মার্ট হবে। এখন সিস্টেম লস ৫ শতাংশ। এই ব্যবস্থায় এটা আরও কমে আসবে। আর এসবকিছুর ফলে বিদ্যুৎ হবে সাশ্রয়ী।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আইইবির সভাপতি প্রকৌশলী আবদুস সবুর। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল মাত্র ২৩০ মেগাওয়াট। এখন তা ২১ হাজার ১৬৯ মেগাওয়াট। ১০ বছর আগেও এই ক্ষমতা ছিল মাত্র তিন হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। ৯৩ শতাংশ জনগণ এখন বিদ্যুতের আওতাধীন। মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রতি ঘণ্টায় এখন ৪৬৪ কিলোওয়াট, যা বিগত ৯ বছরে দ্বিগুণ হয়েছে।   সামনে আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৪ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করা, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার  মেগাওয়াট আর ২০৪১ সালের মধ্যে ৭৯ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করা।  

এসময় প্রকৌশলীদের উদ্দেশ্যে আবদুস সবুর  বলেন, আজ বিদ্যুতের এই উন্নতির পেছনে অন্যতম অবদান আমদের দেশীয় প্রকৌশলীদের। আপনারা সিস্টেম লস এক অংকে নামিয়ে এনেছেন। আপনারাই বাংলাদেশকে আগামীদিনের পথ দেখাবেন।  

সেমিনারে আইইবির তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের সভাপতি মো. রমিজ উদ্দীন সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ।  

সেমিনারে বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০,২০১৯
এসএইচএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।