ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

বেলারুশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিটে জ্বালানি লোড

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২০ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২০
বেলারুশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিটে জ্বালানি লোড বেলারুশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র

ঢাকা: পূর্ব ইউরোপীয় দেশ বেলারুশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিটে জ্বালানি লোডিং শুরু হয়েছে। এটি রাশিয়ার বাইরে ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর ভিত্তিক প্রথম ইউনিট, যা খুব শিগগিরই উৎপাদনে যাচ্ছে।

বেলারুশের এই প্রকল্পটির সঙ্গে বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের যথেষ্ট মিল রয়েছে। উভয় দেশের জন্য প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, উভয় প্রকল্পেই স্থাপিত হচ্ছে ৩+ প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর এবং রুশ রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন-রোসাটমের প্রকৌশল শাখা জেনারেল ডিজাইনার এবং কনট্রাক্টর হিসেবে দুটি প্রকল্পেই দায়িত্ব পালন করছে।

গত ৭ আগস্ট সকালে বেলারুশ পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটে প্রথম জ্বালানি এসেম্বলি লোড করা হয়। চলতি মাসেই মোট ১৬৩টি জ্বালানি এসেম্বলির লোডিং সম্পন্ন হবে। পরবর্তী ধাপে ইউনিটটিকে ন্যূনতম নিয়ন্ত্রণযোগ্য লেভেলে (মোট ক্ষমতার এক শতাংশ) পরিচালনা করার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে। নির্ভরযোগ্যতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবার পর শুরু হবে ইউনিটের পাওয়ার স্টার্ট-আপ এবং এটি বেলারুশের জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।

রোসাটমের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয় ৷

রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচোভ এ উপলক্ষে বলেন, বেলারুশ এখন ৩+ প্রজন্মের প্রযুক্তি সম্বলিত সর্বাধুনিক পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিটের অধিকারী। রাশিয়ায় অনুরুপ ইউনিট পরিচালনার মধ্য দিয়ে এই প্রযুক্তির নির্ভরযোগ্যতা প্রমাণিত হয়েছে। এই ইউনিটগুলো ফুকুশিমা পরবর্তী নিরাপত্তা চাহিদা পূরণ করছে এবং আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি এজেন্সির (আইএইএ) সকল মিশন ইউনিটগুলোর নির্ভরযোগ্যতার স্বীকৃতি দিয়েছে। আমাদের জন্য বিষয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ কেননা রাশিয়ার বাইরে আমাদের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী বেলারুশ প্রথম ভিভিইআর-১২০০ ইউনিটের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, স্বচ্ছতা ও উন্মুক্ততা নিশ্চিত করে বেলারুশ এনপিপি নির্মিত হয়েছে। আইএইএ’র সকল নিরাপত্তা চাহিদা পূরণ হরা হয়েছে প্রকল্পটিতে। বেলারুশ নিয়মিতভাবে বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও সংস্থার সঙ্গে নিয়মিতভাবে মতবিনিময় করেছে। এছাড়াও ইউরোপীয় কমিশন এবং ইউরোপীয় পারমাণবিক নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণকারী গ্রুপের সঙ্গেও যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। ২০১২ থেকে ২০২০ সময়কালে ৭টি গুরুত্বপূর্ণ আইএইএ মিশন পরিচালিত হয়েছে প্রকল্প নির্মাণ কার্যক্রমে।

বর্তমানে, রাশিয়ায় এ জাতীয় তিনটি বিদ্যুৎ ইউনিট সচল রয়েছে এবং আরও একটি খুব শিগিরই উৎপাদনে যাবে। বাংলাদেশ, বেলারুশ, ফিনল্যান্ড, হাঙ্গেরি, তুরস্ক এবং মিশরে ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর ভিত্তিক বিদ্যুৎ ইউনিটের নির্মানকাজ এগিয়ে চলছে।

বাংলাদেশ: ১৯১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০২০
এসকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।