ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

বঙ্গবন্ধুর নীতিতেই জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে: নসরুল হামিদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২০
বঙ্গবন্ধুর নীতিতেই জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে: নসরুল হামিদ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্বালানি নীতির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রোডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় জ্বালানি বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন ‘ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ’ (এফইআরবি) আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু: জ্বালানি নিরাপত্তা ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনলাইন সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

 

নসরুল হামিদ বলেন, পাঁচটি গ্যাস ক্ষেত্র কিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জ্বালানি নিরাপত্তার ভিত্তি রচনা করেছিলেন। তিনি পেট্রোবাংলা প্রতিষ্ঠা, পেট্রোলিয়াম অ্যাক্ট, যুক্তরাষ্ট্রের এসো ইস্টার্ন সরকারিভাবে গ্রহণ তেল ও গ্যাস খাতের বিকাশ সুগমন করেন। জাতির পিতা যেসব ইঞ্জিনিয়ারদের রাশিয়া পাঠিয়েছিলেন তারাই এখন দেশের বিভিন্ন খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

তিনি আরও বলেন, গভীর সমুদ্র থেকে পাইপলাইন নির্মাণ সম্পন্ন হলে বছরে এক হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। তেল মজুদ সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে, তেল শোধানাগারের দ্বিতীয় ইউনিট করার কাজ চলমান, সমুদ্র বন্দর থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে তেল ঢাকা পর্যন্ত পরিবহন, গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানো, এলপিজি ব্যবহারের পরিধি বিস্তার এসব কাজ দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে এবং করবে। তেল ইঞ্জিনের কর্মদক্ষতা গড়ে ২০ শতাংশ। অন্যদিকে ইলেকট্রিক ইঞ্জিনের কর্মদক্ষতা গড়ে ৮০ শতাংশ। তাই ইলেকট্রিক ভ্যাহিক্যাল বা বিদ্যুৎচালিত গাড়ির ব্যবহার বাড়ানো প্রয়োজন। এটি পরিবেশবন্ধব। প্রয়োজনীয় চার্জিং স্টেশন বিদ্যুৎ বিভাগ করে দেবে।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার পত্রিকার সম্পাদক মোল্লাহ আমজাদ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মো. ফরাসউদ্দিন। প্যানেল আলোচক হিসেবে ছিলেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ, বাপেক্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুর্তজা আহমেদ, জিটিসিএলের সাবেক পরিচালক খন্দকার সালেক সুফি।  

ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশের সভাপতি অরুণ কর্মকারের সভাপতিত্বে এবং নির্বাহী পরিচালক শামীম জাহাঙ্গীরের সঞ্চালনায় আরও আলোচনা করেন- বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রোডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরান করিম, সাংবাদিক শাহনাজ বেগম, সাংবাদিক এম আজিজুর রহমান, সাংবাদিক শাহেদ সিদ্দিকী, সাংবাদিক মুজাহেরুল হক রুমেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২০
আরকেআর/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।