ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

কুড়িগ্রামে পাম্পে মিলছে না পেট্রল-অকটেন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৫ ঘণ্টা, মে ৭, ২০২২
কুড়িগ্রামে পাম্পে মিলছে না পেট্রল-অকটেন

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে আকস্মিকভাবে পাম্পগুলোতে পেট্রল-অকটেন সংকট দেখা দেওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। কিছু কিছু পাম্পে রেসনিং পদ্ধতিতে বিক্রি হলেও উপজেলাগুলোতে বন্ধ হয়ে গেছে পেট্রল ও অকটেন বিক্রি।

শনিবার (০৭ মে) জরুরি কাজে বের হওয়া নানা শ্রেণি-পেশার লোকজনকে জেলার বিভিন্ন পাম্পে গিয়ে তেল না পেয়ে চরম বিপাকে পরে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন।

তবে, পাম্পগুলোতে পেট্রল-অকটেন পাওয়া না গেলেও খোলা বাজারে প্রায় দেড়গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি নজরে আসার বিষয়টি উল্লেখ করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কুড়িগ্রাম জেলার সহকারি পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

কুড়িগ্রাম জেলা পেট্রলপাম্প মালিক সমিতির তথ্য মতে জেলায় প্রায় ২৫টির মতো রিফুয়েলিং স্টেশন রয়েছে। পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা থেকে এসব পাম্পে তেল সরবরাহ করা হয়। কিন্তু ঈদের আগে বাঘাবাড়ি থেকে পাম্পগুলোতে চাহিদামতো পেট্রল সরবরাহ না করায় বিপাকে পড়েছে পেট্রলপাম্প মালিক ও ক্রেতারা। এই অচলাবস্থার সময় রেলওয়ের মাধ্যমে যে তেল আসত তাও বন্ধ হওয়ায় জেলা জুড়ে সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

ব্যবসায়ী, চাকরিজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জানান, পাম্পগুলোতে ঘুরে পেট্রল না পেয়ে খোলা বাজারে ১ লিটার পেট্রল বা অকটেন প্রতি লিটার ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা মূল্যে কিনতে হচ্ছে। বিষয়গুলো স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারি করা উচিৎ।

কুড়িগ্রামের পেট্রলপাম্প মালিক সমিতিরি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বাঘাবাড়িতে তেলের লড়ি পাঠিয়ে বসে আছি। সেখানে তেলের যে জাহাজ আসে সেটা এখনো ভেড়েনি। তাছাড়া রেল পথে যে তেল আসত সেটাও বন্ধ থাকায় কিছুটা সংকট সৃষ্টি হয়েছে। কবে নাগাদ এই পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটবে সেটাও বলতে পারছি না।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বাংলানিউজকে জানান, এখন পর্যন্ত যে তথ্য পেয়েছি তাতে চাহিদানুযায়ী পেট্রল ও অকটেনের সরবরাহ কম। সার্বিক পরিস্থিতি বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই এ অবস্থার অবসান হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২২
এফইএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।