ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

রাজশাহীতে জ্বালানি তেলের সংকট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৩ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২২
রাজশাহীতে জ্বালানি তেলের সংকট

রাজশাহী: রাজশাহীতে জ্বালানি তেল নিয়ে চরম অরাজকতা শুরু হয়েছে। ঈদের ছুটির পর হঠাৎ পেট্রোল-অকটেন হাওয়া হয়ে গেছে।

রাজশাহী মহানগরের অনেক পেট্রোল পাম্পেই এখন পেট্রোল-অকটেন নেই সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার অনেক ফুয়েল স্টেশনগুলোতে পেট্রোল আছে তো অকটেন নেই, অকটেন আছে তো পেট্রোল নেই।

রাজশাহী মহানগর ছাড়াও উপজেলা পর্যায়ের পাম্পগুলোতেও পেট্রোল-অকটেন কোনোটাই মিলছে না। অনেকেই কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে খুচরা পর্যায়ে বাড়তি দরে বিক্রি করছেন। তবে বর্তমানে চাহিদার তুলনায় তেল সরবরাহ কম। তাই জ্বালানি তেলের সংকট জানিয়েছেন পাম্প মালিকরা।

রাজশাহী জেলা পেট্রোল পাম্প অ্যান্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, জেলার নয় উপজেলায় ৪৮টি তালিকাভুক্ত পেট্রোল পাম্প রয়েছে। কিন্তু গত প্রায় তিন মাস থেকে এগুলোতে পর্যাপ্ত পেট্রোল-অকটেন আসছে না। ঈদুল ফিতরের ছুটিতে জ্বালানি তেলের এ সংকট বেড়েছে। এজন্য পাম্পগুলো তেল শূন্য।

এদিকে ঈদের আগে চাহিদার তুলনায় কম পরিমাণে পেট্রোল, অকটেন ও ডিজেল বিক্রি করা হয়েছে। তাই ঈদের পর মোটরসাইকেল ও অন্যান্য যানবাহন চালকরা পড়ছেন চরম ভোগান্তি ও বিড়ম্বনায়। জ্বালানি তেলের জন্য বিভিন্ন পাম্পে ঘুরে ঘুরে অনেকেই হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

তবে ঠিক কবে নাগাদ রাজশাহী মহানগর ও জেলায় জ্বালানি তেল সরবরাহ স্বাভাবিক হবে তা জানাতে পারেনি পাম্প মালিকদের সংগঠন।

আর প্রশাসন জানিয়েছে, এটি সিন্ডিকেটের কোনো চক্রান্ত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বর্তমানে খুচরা বাজারে কোথাও কোথাও বেশি দামে জ্বালানি তেল মিলছে। তবে এজন্য লিটার প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি গুণতে হচ্ছে ক্রেতাদের। আবার কোনো কোনো এলাকার পেট্রোল পাম্পে সরকার নির্ধারিত দরে সীমিত পরিসরে লিটার প্রতি পেট্রোল বিক্রি হচ্ছে ৮৬ টাকা ৭৭ পয়সা ও অকটেন বিক্রি হচ্ছে ৮৯ টাকায়।

রাজশাহী পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মমিনুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের আগে কোনোভাবে ক্রেতাদের চাহিদা কমবেশি করে পূরণ করা গেলেও ঈদের পর আর তা সম্ভব হয়নি। অনেক পাম্পই পেট্রোল-অকটেন শূন্য হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, যেখানে পাম্পে নয় থেকে সাড়ে নয় হাজার লিটার তেলের চাহিদা থাকে সেখানে দুই থেকে তিন হাজার পেট্রোল সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে। তাই সংকট তৈরি হয়েছে। অনেক সময় অকটেন পাওয়া গেলেও পেট্রোল পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ পেট্রোলেরই চাহিদা বেশি। আর পেট্রোল-অকটেনের পাশাপাশি ডিজেলেরও সংকট রয়েছে। তাই সরবরাহ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ সংকট থাকবে। এখানে মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরির কোনো উপায় নেই। কারণ জ্বালানি তেল মারাত্মক দাহ্য পদার্থ। এটি পেট্রোল পাম্প ছাড়া যেখানে সেখানে বেশি পরিমাণে মজুতের কোনো উপায় নেই। যারা মজুতের কথা বলছেন তারা ভুল বলছেন।

মূলত পেট্রোল সরবরাহ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ সংকট কাটবে না। তবে কবে নাগাদ এ সংকট কাটবে তাও সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না বলে উল্লেখ করেন এ নেতা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২২
এসএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।