ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

ইউক্রেন যুদ্ধের খেসারত আমরা দিচ্ছি: তৌফিক-ই-ইলাহী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২০ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০২২
ইউক্রেন যুদ্ধের খেসারত আমরা দিচ্ছি: তৌফিক-ই-ইলাহী

নারায়ণগঞ্জ: প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, এখন আমাদের গ্যাস সংকট চলছে, এটা আমাদের তৈরি না। আজকে যদি এই আকাশচুম্বি দাম না হতো, তাহলে দেশে গ্যাস বিদ্যুতের কোনো অভাব হতো না।

তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের খেসারত আমরা দিচ্ছি। এখন আমরা সীমিত আকারে গ্যাস, বিদ্যুতের ব্যবহারে জোর দিচ্ছি আমদানি কমাতে। আগে যেটা পাঁচ টাকায় কিনেছি, সেটা এখন ত্রিশ টাকা। দাম ছয় গুণ বেড়ে গেছে। কয়লার দাম দুই-তিন গুণ বেড়েছে। এগুলোর দাম আকাশচুম্বি হয়ে গেছে। এখানে আমাদের হাত নেই। এই দাম যত দিন বেশি থাকবে ততদিন আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ থাকবে।

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দুপুরে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের আওতাধীন এলাকায় স্থাপিত সিসি ক্যামেরার সাহায্যে মনিটরিং কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা আমাদের আছে। গ্যাস সরবরাহের ক্ষমতাও আছে। এখন যে মূল চ্যালেঞ্জ সেটা হলো, আকাশচুম্বি দাম। আমাদের আয়ের মধ্যে আমাদের থাকতে হবে। আমরা তো ইউরোপ না। তাই আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে। কোনো রকম বেআইনি কিছু থাকতে পারবে না।

তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী আরও বলেন, আপনাদের সহযোগিতার হাতকে শক্তিশালী করতে আজকের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ক্যামেরা না থাকার কারনে আগে কারও নাম বলা হতো না। এখন কেউ করলে আমরা তাদের চিহ্নিত করব। আপনারা যদি সহযোগিতা না করেন তাহলে কিছু হবে না। আপনারা সহযোগিতা করবেন। আপনারা দেশকে ভালোবাসেন এবং দেশের কল্যাণ চান। অবৈধ কোনো গ্যাস সংযোগ আপনারা বরদাশত করবেন না।

তিনি বলেন, তিতাসকে আপনারা সাহায্য করবেন। তারা অনেক বিপদের সম্মুখীন হয়। আপনারা সাথে থাকলে তারা কোনো বিপদের সম্মুখীন হবে না। এই অবৈধ সংযোগ যদি আমরা কমাতে পারি তাহলে যে পরিমাণ গ্যাস আছে, তা বৈধ ব্যবহারকারীরা একটু বেশি পাবেন। অনেক জায়গায় দেখা যায় প্রেশার কমে যায়। এগুলো না থাকলে এটা হবে না।

প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা আরও বলেন, আমাদের মূল কাজ শিল্প ও কৃষিকে বাঁচিয়ে রাখা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাড়ির কাছে একটু জায়গা থাকলে সেখানে কিছু লাগাও। আমরা সবটুকু জায়গা যদি ব্যবহার করি তাহলে আমাদের অনেক খাওয়া পড়ার ব্যবস্থা হয়ে যাবে। আজ আমরা খাদ্যশস্যে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। বড় বিপদ আমাদের ওপর আসবে না। সামর্থ্য যদি ভালোভাবে ব্যবহার করি তাহলে শিল্প কৃষি বেঁচে থাকবে এবং আমরা আরও উন্নয়ন করতে পারব।

তিনি বলেন, এই যে গ্যাসের দাম বেড়েছে, এটা কতদিন থাকবে আমরা কেউ বলতে পারব না। যারা যুদ্ধ করছে তারা বলতে পারবে। তারা কি অস্ত্র বিক্রির জন্য যুদ্ধ চালাচ্ছে নাকি তেলের দাম বাড়ানের জন্য চালাচ্ছে, আমরা জানি না। তবে এতে লাভবান হচ্ছে যারা তেল রপ্তানি করে। আমাদের কোনো হাত নেই। আমরা ছোট দেশ, কিন্তু আমরা নিজেদের গুছিয়ে রাখি।

জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান, তিতাসের এমডি হারুনুর রশিদ, বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০২২
এমআরপি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।