ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রবাসে বাংলাদেশ

অস্ট্রেলিয়ার নিউক্যাসেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৫
অস্ট্রেলিয়ার নিউক্যাসেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

নিউ ক্যাসেল: অস্ট্রেলিয়ার নিউক্যাসেলে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।

২১ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে নিউক্যাসেলের ফোরশোরে বাংলাদেশ স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব নিউক্যাসেল ইউনিভার্সিটি (বিসানু) ও নিউক্যাসেল বাংলাদেশি কমিউনিটি’র (এনবিসি) যৌথ উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়।



৫২’র ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর অনুষ্ঠিত আলোচনা পর্বে অংশগ্রহণ করেন এনবিসি’র সভাপতি কবি আবুল হাসনাৎ মিল্টন, বিসানুর সভাপতি ডা. ইকবাল কবির, নিউক্যাসেল ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের (নুসা) সভাপতি ক্লেয়ার সোয়ান, নিউক্যাসেল পোস্টগ্রাজুয়েট স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের (নুপসা) সভাপতি লর্না কাটুসিম ও নিউক্যাসেল ইউনিভার্সিটির কমিউনিটি রিলেশনস অফিসার জ্যাক থিম।

আলোচনা সভায় বক্তারা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রেক্ষাপট ও বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন বিসানুর সহ-সভাপতি আসমা জাহান মুক্তা।

এ সময় মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন এনবিসি’র সাধারণ সম্পাদক ড. আখতারুজ্জামান ও সহ-সভাপতি ডা. ফখরুল ইসলাম।

কবি আবুল হাসনাৎ মিল্টন তার বক্তৃতায় বলেন, প্রবাসে আমাদের দ্বিতীয়-তৃতীয় প্রজন্মের সন্তানদের অধিকাংশই তাদের পূর্বপুরুষের মাতৃভাষা বাংলা পড়তে বা লিখতে পারে না। আমাদের আজ তাই দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। বিভিন্ন বাংলাদেশি সংগঠনের মাধ্যমে আমাদের উত্তর প্রজন্মকে বাংলা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। কমিউনিটি বাংলা স্কুল গঠনের মাধ্যমে আমাদের নতুন প্রজন্মকে বাংলা ভাষা লিখতে ও পড়তে শেখাতে হবে।

তিনি তার বক্তৃতায় অচিরেই এনবিসির উদ্যোগে নিউক্যাসেল বাংলা স্কুল চালুর উদ্যোগ গ্রহণের ঘোষণা দেন ও এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। একই সাথে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে এই দিনটি আরো গুরুত্বের সাথে পালনের জন্য অস্ট্রেলিয়ান সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’, ও ‘আমি বাংলায় গান গাই’ -এই দুটি সঙ্গীত পরিবেশন করেন আনিকা নিশাত নওরোজ, সোনিয়া শারমিন। এ সময় উপস্থিত সব বাঙালি গানের সাথে কণ্ঠ মেলান।

দিবসটি উপলক্ষ্যে ফোরশোর এলাকায় উপস্থিত বিদেশিদের মধ্যে দিনটির গুরুত্ব সংবলিত লিফলেট বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া শিশুদের জন্য বাংলা বর্ণমালা লেখার প্রতিযোগিতা ‘হাতে খড়ি’ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকল শিশুকে পুরস্কৃত করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।