ঢাকা, বুধবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২ রবিউস সানি ১৪৪৬

প্রবাসে বাংলাদেশ

শান্তিময় বিশ্বের স্বপ্ন দেখেছিলেন দুই নেতা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৬
শান্তিময় বিশ্বের স্বপ্ন দেখেছিলেন দুই নেতা রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও কিউবার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও কিউবা বিপ্লবের স্থপতি ফিদেল কাস্ত্রো শান্তিময় বিশ্বের স্বপ্ন দেখেছিলেন।

ঢাকা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও কিউবার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও কিউবা বিপ্লবের স্থপতি ফিদেল কাস্ত্রো শান্তিময় বিশ্বের স্বপ্ন দেখেছিলেন।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে স্থপতি ফিদেল কাস্ত্রোর প্রতি সম্মান প্রদর্শনার্থে আয়োজিত এক স্মরণ সভায় একথা বলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।



তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালে আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত ন্যাম সম্মেলনের সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে কাস্ত্রোর প্রথম সাক্ষাতের বিষয়টি পুনরুল্লেখ করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, সেই সাক্ষাতের সময় এই দুই মহান নেতার সমসাময়িক বৈশ্বিক ঘটনা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। তারা এমন একটি শান্তিময় বিশ্বের স্বপ্ন দেখেছিলেন যেখানে দারিদ্র্য, সংঘাত ও কোনো ধরণের অবিচার থাকবে না।

স্থায়ী প্রতিনিধি আরও উল্লেখ করেন, সাক্ষাৎ শেষে কমান্ডার কাস্ত্রো বঙ্গবন্ধুকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, “আমি হিমালয় দেখিনি। শেখ মুজিবকে দেখলাম। ব্যক্তিত্ব ও সাহসে মানুষটি হিমালয় সমতুল্য। তাকে দেখে আমি হিমালয় দেখার অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম”।

স্থায়ী প্রতিনিধি কমান্ডার ফিদেল কাস্ত্রোর অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, অসম সাহস ও দূরদৃষ্টির উল্লেখ করে বলেন, কাস্ত্রো শুধুমাত্র কিউবাকেই উদ্বদ্ধু করেননি, তিনি অনেক উন্নয়নশীল দেশকে দারিদ্র্য, অসাম্য ও অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে পুনরুত্থানে অনুপ্রাণিত করেছে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ফিদেল কাস্ত্রোর আজন্ম বাসনা ছিল ন্যায় ও সাম্যভিত্তিক একটি বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলা। তিনি আধুনিক কিউবার স্থপতি, ন্যামের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং অসহায় মানুষের কন্ঠস্বর হিসাবে আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, বাংলাদেশ এই মহান ব্যক্তিত্বের জীবন ও কর্মকে সবসময় স্মরণ করবে।

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাজয় এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একটি নতুন ও পূর্নাঙ্গ রেজুলেশন গ্রহণ করা হয়।

রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন মানব পাচারের বৈশ্বিক অভিশাপ প্রতিরোধে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির পূনর্ব্যক্ত করেন। কতিপয় আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মানব পাচারের মাধ্যমে তাদের শক্তি, লোকবল ও আর্থিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করছে মর্মে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রদূত একটি পূর্নাঙ্গ অভিবাসন ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপদ, নিয়মতান্ত্রিক ও নিয়মিত অভিগমনের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন। মানবপাচার সংশ্লিষ্ট মামলার বিচার ব্যবস্থার উন্নয়নে দেশসমূহের মধ্যে পারস্পরিক আইনগত সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও তিনি জোর দেন।

সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে মানব পাচার ও সংঘবদ্ধ অপরাধের মাঝে সৃষ্ট অনৈতিক বন্ধন ভেঙ্গে ফেলতে সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও জাতীয় সংস্থাসমূহকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৬১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৬
বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।