সম্প্রতি অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে দূতাবাসে ডেকে আটক করে স্থানীয় পুলিশের হাতে সোপর্দ করে কর্তৃপক্ষ।
সূত্র জানায়, বেশ ক’জন বাংলাদেশি দূতাবাসে এসে সম্প্রতি অভিযোগ করেন, তাজিরুল তাদের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকারও বেশি নিয়ে কাতারে এনেছেন।
দূতাবাসের শ্রমশাখা অভিযোগ তদন্ত করে এর সত্যতা পাওয়ার পর অভিযুক্ত তাজিরুলকে দূতাবাসে হাজির হতে বলে। ২৬ জুলাই তিনি দূতাবাসে হাজির হলে জিজ্ঞাসাবাদে অসংলগ্নতা পাওয়ার পর তাজিরুলকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রও দাখিল করে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর ড. সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, অভিযুক্ত তাজিরুলের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। তিনি ভিসা বিক্রির মাধ্যমে কাতারে কর্মী আনার কিছুদিন পর আবার তাদের দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবসা করে আসছিলেন। এভাবে তার হাতে অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সর্বশেষ আটজনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিই। আমরা তার কফিল কাতারি নাগরিককেও ডেকেছিলাম। তার সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের প্রক্রিয়া এখনও অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ কমিউনিটির আরও অনেকে এমন অবৈধ ভিসা বিক্রি ও প্রতারণার সঙ্গে জড়িত উল্লেখ করে ড. সিরাজুল বলেন, উপযুক্ত প্রমাণ সাপেক্ষে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ জানালে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। অনেক ভিসা ব্যবসায়ী দূতাবাসে এসেও বড় বড় কথা বলেন, কিন্তু আইনের দৃষ্টিতে তারা অপরাধী এবং এদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমদ বলেন, কাতারে যেসব বাংলাদেশি ভিসা বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রেখেছি। এরই অংশ হিসেবে তাজিরুলকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এর আগে আরও একজনকে আমরা এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনের হাতে তুলে দিয়েছিলাম।
রাষ্ট্রদূত ভিসা কেনাবেচার অবৈধ বাণিজ্য থেকে সবাইকে দূরে থাকার আহ্বান জানান। অন্যথায় তাজিরুলের মতোই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে বলে সতর্কতা উচ্চারণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৭
এইচএ/