সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে দোহার অ্যামিউজমেন্ট পার্ক ‘এশিয়ান টাউন’র পাশে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে কাতারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। থিম প্যারেডে অন্য দেশের প্রবাসীদের পিছিয়ে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা দ্বিতীয় স্থান লাভ করায় চার লাখ প্রবাসীর মধ্যে আনন্দের জোয়ার বয়ে যায়।
কাতারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হাত থেকে বাংলাদেশ কমিউনিটির পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন কমিউনিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন আকন, থিম সমন্বয়ক নুর মোহাম্মদ (নুর), অধ্যাপক এ কে এম আমিনুল হক ও আমিন রসুল সাইফুল।
উচ্ছ্বসিত নেতারা এই অর্জনের পেছনে অক্লান্ত পরিশ্রমীদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান। তারা বলেন, বাংলাদেশি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরার পর প্রাপ্ত এই অর্জন আমাদের কারও একার নয়, এই অর্জন কাতারে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির সবার।
এদিকে, জাতীয় দিবস উপলক্ষে সমুদ্র তীরবর্তী বিনোদন কেন্দ্র দোহা কর্নিশে বর্ণাঢ্য প্যারেডের আয়োজন করে দেশটির সেনাবাহিনী। এতে প্রায় ২৭ লাখ কাতারি অংশ নেয়। আয়োজনে কাতারিদের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরাও আনন্দ আয়োজনে মেতে ওঠে।
এছাড়া দেশের স্টেডিয়াম, মুক্তাঙ্গন, পার্কসহ বিভিন্ন স্থানে আতশবাজি, কার রেস, থিম প্যারেড ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ বছর কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি জাতীয় দিবস উপলক্ষে ১৭ ও ১৮ ডিসেম্বর সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন।
তবে গত বছর যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়াবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে দিবস উদযাপন বাতিল করে কাতার। আর সেই আয়োজনের খরচ হিসেবে নির্ধারিত ৭০ মিলিয়ন ডলার (৭ কোটি ডলার) দান করে দেওয়া হয় ক্ষতিগ্রস্ত সিরিয়ানদের জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
এইচএ/