ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রবাসে বাংলাদেশ

‘রাজনৈতিক নয়, ব্যক্তিগত কারণে বিভক্ত প্রবাসী সংগঠনগুলো’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৯
‘রাজনৈতিক নয়, ব্যক্তিগত কারণে বিভক্ত প্রবাসী সংগঠনগুলো’

ঢাকা: উত্তর আমেরিকায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের পরিচালিত বিভিন্ন সংগঠনে যে বিভক্তি দেখা যাচ্ছে, সেজন্য ‘ব্যক্তিগত ও কৌশলগত কারণ’কে দায়ী করেছেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশন ইন নর্থ আমেরিকা’র (ফোবানা) নেতারা। তাদের দাবি, রাজনৈতিক বা অন্য কোনো কারণে নয়, ব্যক্তিগত কারণেই উত্তর আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠনগুলোতে বিভক্তি দেখা যাচ্ছে।

শনিবার (১৯ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরিইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমনটি দাবি করেন ফোবানার নেতারা। আগামী সেপ্টেম্বরে আমেরিকায় ফোবানা সম্মেলন আয়োজনের বিস্তারিত তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য পাঠ করেন ফোবানার স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন খান। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একই সময়ে উত্তর আমেরিকায় আরেকটি সংগঠনের সম্মেলন রয়েছে। আগে আমরা একসঙ্গেই সব অনুষ্ঠানের আয়োজন করতাম। কিন্তু এখন এই বিভক্তিতে আমরা লজ্জিত। এমনকি প্রবাসীদের এই বিভক্তির কারণে আমরা যথেষ্ট দুর্বল হয়ে পড়েছি। তবে এই বিভক্তির পেছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ নেই। দলমতের ঊর্ধ্বে থেকে আমরা বাংলাদেশি সংস্কৃতিকে বিশ্বের কাছে পরিচিত করার কাজ করছি।

জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করতে চাইলেও তা দেওয়া হয়নি অভিযোগ করে ফোবানার নেতা মোহাম্মদ হোসেন বলেন, আমরা এই সংবাদ সম্মেলনটি প্রেসক্লাবে করতে চেয়েছিলাম। আমাদের বুকিং দেওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনের ঠিক আগের দিন কোন কারণ না দেখিয়েই বুকিংটি বাতিল করা হয়। আমাদের কাছে মনে হয়েছে ওই বিভক্তির কারণে সৃষ্ট বর্তমান প্রতিপক্ষ যে কোনো উপায়ে চাপ প্রয়োগ করে প্রেসক্লাবের শিডিউলটি বাতিল করিয়েছে।  

ফোবানার আসন্ন সম্মেলন সম্পর্কে তিনি বলেন, শুরু থেকে এই সংগঠনটি উত্তর আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে সেতুবন্ধন এর দায়িত্ব পালন করছে। সে লক্ষ্যে প্রতিবারের মতো এবারও আমেরিকায় সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রবাসে বসবাস করলেও নিজ মাতৃভূমির সামাজিক-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ধারণ ও লালন করার মধ্য দিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিরা নিজেদের গর্বিত পরিচয় উপস্থাপন করতে চায়। এই সম্মেলনে বাংলাদেশের বিশিষ্টজনেরা অংশ নিয়ে থাকেন। আমরা বিশ্বাস করি, আমন্ত্রিত বাংলাদেশি গুণী ব্যক্তিদের উপস্থিতির মাধ্যমে সম্মেলনে দেশের শিল্প, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য চর্চার যে অনুশীলন হবে, তাতে প্রবাসী পরিবারগুলোর বিপরীত সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের সদস্যদের মধ্যে শেকড়ের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির প্রতি আকর্ষণ গড়ে উঠবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের ফোবানা সম্মেলনে দেশি-বিদেশি পণ্যের স্টলের উপস্থিতির পাশাপাশি থাকবে শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতি, চিকিৎসাবিজ্ঞান, ব্যবসা-বাণিজ্য, জলবায়ু, নদী, ট্যুরিজম, পানিসহ সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর সেমিনার। বরাবরের মতোই থাকবে বিশিষ্টজনদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক জসীম উদ্দীন আহমেদ, দ্য এশিয়ান এইজের কনসালট্যান্ট এডিটর মোস্তফা কামাল মজুমদার, সাংবাদিক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রিতা রহমান, ফোবানা স্টিয়ারিং কমিটির কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক কাজী আজম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৯
এমএএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।